গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সাজ্জাদুল ইসলাম মনির ওরফে বোমা মনিরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার জনসাধারণ। এই নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আতষ্ক বিরাজ করছে। বোমা মনিরের বিরুদ্ধে টঙ্গী ও জয়দেবপুর থানায় রয়েছে, একাধিক মামলা। এতগুলো মামলা ফিরিস্তি থাকার পরও থেমে থাকেনি বোমা মনির।
আগামী ১২ এপ্রিল জহির হত্যা চেষ্টা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীকে ভয়-ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি দেওয়ায় ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে বোমা মনিরের নামে টঙ্গী পূর্ব থানায় আরেটি অভিযোগ দায়ের করেন এরশাদনগরের বাসিন্দা জাকির হোসেন।
এলাকা বাসী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ বোমা মনির ও তার পরিবারের লোকজন এলাকায় অস্ত্র ব্যবসাসহ খুন, ধর্ষন, চাঁদাবাজি, সর্বনাশা মাদক হিরোইন, ইয়াবা, মদ, গাঁজাসহ সমাজের বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ও অপর্কম চালিয়ে যাচ্ছে।
অনেক সময় প্রশাসনের র্যাব, পুলিশ, ডিবির অফিসারদের নাম ভাঙ্গীয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এলাকাবাসী আরো জানান, বোমা মনির নামে একটি দুইটি নয় রয়েছে একাধিক মামলা, অভিযোগ এবং সাধারন ডায়েরী।
মামলা গুলোর বিবরনীতে দেখা যায়, টঙ্গী থানা এলাকায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে দুই হত্যা মামলা, যা চাঞ্চ্যলক যুবলীগ কর্মী আলমগীর হত্যা মামলা নং-০৬(১১)২০০৪ ও নিপ্পন গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যা ও লুষ্ঠন মামলা প্রধান মন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গ্রেফতার।
টঙ্গী থানার মামলা নং ৩৬(১০)২০০৯। হত্যার চেষ্টা তার বিরুদ্ধে রয়েছে দুইটি মামলা, যা ছাত্রলীগ নেতা জহিরকে হত্যার চেষ্টা মামলা নং-১৯(০৫)২০১২ টঙ্গী থানা ও আরেটি হত্যার চেষ্টা মামলা নং-১৫(১০)২০০৩ টঙ্গী থানা। তার বিরুদ্ধে হাত কাটা মামলা রয়েছে দুইটি যা আনোয়ারের হাত কাটা মামলা নং- ১৫(১০)২০০৬ টঙ্গী থানা। আসলামের হাত কাটা মামলা নং-২৫(১১)২০০২ টঙ্গী থানা।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে, দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল মামলা নং-১০-(০১)২০১২। নারী নির্যাতন মামলা নং-১৯/৯৮ টঙ্গী থানা। তার বিরুদ্ধে টঙ্গী থানায় দুইটি চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে, মামলা নং-০৯(০৪)২০১৪ অপরটি হলো-১৫(১০)২০০৩।
বোমা তৈরীর কারিগর সাজ্জাদুল ইসলাম মনির ২০০৬ সালে বোমাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার হয় এবং তার পর থেকে নামের পাশে উপাধী হয়ে যায় এরশাদ নগরের ত্রাস বোমা মনির যা বিস্ফোরক মামলা ১১(১১)২০০৬ জয়দেবপুর থানার।