বশির আলম.প্রজন্মের সঙ্গে প্রজন্মের, সংস্কৃতির সঙ্গে সংস্কৃতির, লেখকের সঙ্গে পাঠকের সেতুবন্ধন তৈরির মাধ্যম বইমেলা। প্রাণের এ মেলাকে সবুজ-প্রাণবন্ত করে তারুণ্য।
সে লেখায় অথবা পাঠে। কার্যত এতেই গড়ে ওঠে আগামীর সাংস্কৃতিক নেতৃত্ব।সাংস্কৃতিক নেতৃত্ব তৈরির এ মেলায় বরাবরের মতোই প্রকাশিত হবে প্রজন্মের প্রতিভাবান ও প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ লেখকদের বই।
খ্যাতিমান লেখকদের বইয়ের পাশাপাশি মেলায় বইপ্রেমীদের মধ্যে আগ্রহ দেখা যায় তরুণ লেখকদের বই নিয়েও।
এবছর একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হচ্ছে বাংলা সাহিত্যে ম্যাটফিজিক্যাল কবিতা ধারার প্রবর্তক উদীয়মান কবি ও লেখক জমির উদ্দীন মিলনের লিখা একটি কবিতাগ্রন্থ একটি উপন্যাস ও একটি ভাষান্তর অনুবাদ।
চন্দ্রছাপ প্রকাশনীর প্রকাশনায় ও দেশখ্যাত প্রচ্ছদ শিল্পী চারু পিন্টুর অসাধারণ জ্ঞান গভীর নজরকাড়া প্রচ্ছদে প্রকাশিত হচ্ছে বইগুলো।
এই বিষয়ে লেখকে জমির উদ্দিন মিলন সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এবছর বই মেলায় প্রকাশিত হচ্ছে তার লিখা কবিতা গ্রন্থ “শূন্য সমাধি”, সেই সাথে থাকছে বাস্তবধর্মী চিরন্তন অমোঘ প্রেম নিয়ে লিখা উপন্যাস “বকেয়া ভালবাস” এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস।
এছাড়াও এবারের বই মেলায় আরোও থাকছে লেখকে অঝর শ্রমের সৃষ্টি জগৎ খ্যাত লেখিকা “অগাথা কৃষ্টির” বিখ্যাত লেখা “দ্যা মিস্ট্রি অফ ডেথ” এর চমৎকার বাংলা ভাষান্তর।
লেখক জমির উদ্দিন মিলন একে একে পরম যত্নে সৃষ্ট শব্দের মালায় সাঁজিয়েছেন তার লিখা গ্রন্থগুলো।
এ যাবৎ কাল অব্দি বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থার প্রকাশনায় তরুন লেখক জমির উদ্দিন মিলনের মোট বারটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বইগুলোর নিয়মিত আলোড়ন সৃষ্টি করেছে পাঠক সমাজে।
এ বছর তার প্রকাশিত বই গুলো সংগ্রহে মরিয়া তৃর্ষ্ণাত পাঠক সমাজ।বিচিত্র প্রতিভাবান এই লেখকের এবছরে প্রকাশিত সবগুলো বই পাঠকদের হৃদয় জয় করবে পাঠক সমাজে ।
অমর একুশে বই মেলায় জমির উদ্দিন মিলনের লিখা আত্মপ্রকাশ হতে যাওয়া বই গুলোর বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মিয়া ভার্চুয়ালি মন্তব্য করেন গুনী এই লেখকের শাণিত কলমে আলোকিত হোক বাংলা সাহিত্য ও তার সৃজনশীল সৃষ্টিশীলতা বিকশিত করুক বাংলা সংস্কৃতি।
লেখকে প্রকাশিত বইগুলোর বিষয়ে এক বিশেষ বার্তায় জানতে চাইলে প্রকাশনী সংস্থা চন্দ্রছাপের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য বলা হয়, নিসর্গ প্রেমের গহনচারী লেখক কবি জমির উদ্দিন মিলন।ঐশ্বর্য
প্রাচুর্যপূর্ণ পুরো প্রকৃতির জগতই কাব্য উপাদান হয়েছে তার কবিতায়। প্রকৃতির আলো আঁধার ও সুরের ঝর্ণাধারার মিশ্রণে তার প্রতিটি কবিতার ভিতর প্রকৃতি নানাভাবে উঠে এসেছে।
কখন শৈশবের ভাবালুতা,কখনো যৌবনের উত্তাল মাদকতা, আবার কখনো পোক্ত বুদ্ধির দার্শনিক বিশ্লেষণ নিয়ে প্রকৃতির বুকে তিনি আবিষ্কার করেছেন জগদীশ্বরের উপস্থিতি।
প্রকৃতি একই সাথে তার মাঝে আশা আনন্দ আর বিস্ময়ের উদ্রেক ঘটিয়েছে।কবি পরিচিতি ম্যাটফিজিক্যাল ধারার প্রকৃত কবি জমির উদ্দিন মিলন স্নাতকোত্তর ফলিত রসায়ন ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, ১ জানুয়ারি ১৯৮৪ সালে লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।তার পিতার নাম মোশারফ হোসেন ও মাতা অংকাজ হোসেন।
লেখকের বুকের মধ্যে অফুরন্ত গল্পের বসতি সেসব গল্প বলতে চান কবিতা, গল্প ও উপন্যাসের মাধ্যমে। ঘরের কার্নিশে নিজের হাতে বানিয়ে দেওয়া পাখির বাসায় চড়ুই দম্পতির বাচ্ছাগুলো যখন
টিও টিও করে ওঠলে দিশেহারা হয়ে যায় যে মানুষটি, শখের গোলাপ বাগানে ফোঁটা পাঁচ রঙের গোলাপে রঙিন হয়ে ওঠে তার চোখের মণি।এতসব ছোট আনন্দ উপলক্ষ ছুঁয়ে থাকা মানুষটি
কখনো হারিয়ে যায় একান্ত নিজের জগতে। তখন সে থাকে তার লেখার টেবিলে। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা বারটি।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “বিমর্ষ বিলাপ” এর মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু এবং প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য পেয়েছেন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল এওয়ার্ড।
এ বছর জমির উদ্দিন মিলনের লিখা বইগুলো সংগ্রহ করা যাবে বই মেলায় চন্দ্রছাপের স্টল থেকে। চন্দ্রছাপ লেখকে উত্তর উত্তর মঙ্গল কামনা করে।
লেখক জমির উদ্দিন মিলন পাঠকদের উদ্দেশ্য বলেন বই পড়ুন, বই আমাদের পরম বন্ধু। বই আমাদের বিশুদ্ধ আত্মার প্রতিচ্ছবি,সুস্থ জ্ঞানগর্ব ও পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব মূল্যবোধ অর্জনে মূল্যবান মূলধন।
ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত থেকে অনেক ছেলেমেয়েরা একঘেয়েমি হয়ে যাচ্ছে। বেশি বেশি গল্প ছড়া উপন্যাস পড়ুন,আপনার সন্তানকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তুলুন। সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ দেশ গড়তে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।