আল হেলাল চৌধুরী,দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা ভূমি অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্ম বিরতি চলছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
দূর-দূরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা লোকজন সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।পদ পদবী পরিবর্তন ও উন্নীত বেতন স্কেলের দাবীতে একযোগে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের
কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে কর্মরত ৩য় শ্রেণীর কর্মচারীদের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি গত মঙ্গলবার (১মার্চ) হতে শুরু হয়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সাধারণ মানুষ সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তাদের চোখে মুখে ছিল বিরক্তির ছাপ।
উপজেলার তেপুকুরিয়া থেকে আগত ফাতেমা বেগম(৫৫) বলেন, ‘খারিজ বাতিল (মিসকেইস) করতে গতকালও (১মার্চ) এসে ফিরে গিয়েছি। আজও কাজ হলো না।
এতদূর থেকে এসে ফিরে যেতে কষ্ট হচ্ছে।’ পৌর এলাকার সেকেন্দার আলী (৫০) বলেন, ‘অফিস বন্ধ আগে জানলে আসতাম না।’
চকচকা গ্রামের তোজাম্মেল হোসেন (৬৫) বলেন, ‘জাবেদা নকল তুলতে এসেছিলাম। কর্ম বিরতি থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে। কবে অফিস খুলবে কেউ বলতে পারছেনা।’
একই ভাবে প্রতিদিন দু-তিনশত মানুষ সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন বলে জানা যায়। ফুলবাড়ী উপজেলা ভূমি অফিসে বুধবার বেলা ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের সব কক্ষে তালা ঝুলিয়ে কর্ম বিরতি পালন করছেন কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ ভূমি প্রশাসন সহকারী সমিতির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ১৬তম গ্রেডের চাকুরিতে যোগদান করেছি। তহসিলদারগণ ১৭ তম গ্রেডে যোগদান করলেও
তাদেরকে ১২ ও ১৩তম গ্রেডে বেতন প্রদান করছে। অথচ আমরা একই পরিবারের হলেও আগের গ্রেডেই রয়েছি। এটা আমাদের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। ১মার্চ হতে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবী
আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান তিনি।’এসময় কর্মবিরতিতে উপস্থিত ছিলেন ক্রেডিট চেকিং কাম সাইরাত সহকারী রহমত আলী, নাজির কাম ক্যাশিয়ার আতিউর রহমান, সার্টিফিকেট সহকারী নাইলা আঞ্জুমান, মিউটেশন সহকারী মনোজ কুমার শীল প্রমুখ।