ব্যাপক সহিংসতার মধ্য দিয়ে চলছে পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ দফার বিধানসভা নির্বাচনের ভোট। কোচবিহারে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছে।
শনিবার (১০ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে ভোট চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।
করোনা স্বাস্থ্যবিধির পাশাপাশি নির্বাচনী সহিংসতা ঠেকাতে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা। পাঁচ জেলার ৪৪টি আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে।
এ দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৪৫ প্রার্থী। ভাগ্য নির্ধারণ হবে অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত, কাঞ্চন মল্লিক, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, লাভলী মৈত্রী, লকেট চট্টোপাধ্যায় মতো তারকা প্রার্থীদের। আগামী ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফায় ৪৫টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে মঙ্গলবার দিনভর বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টা হামলা আর বুথ দখলের মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
নির্বাচন কমিশনের হিসাব মতে, মঙ্গলবার ভোট পড়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ। একই সঙ্গে প্রায় দেড় হাজার অভিযোগ জমা পড়ে।
তৃতীয় দফায় মঙ্গলবার সকালে কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলী জেলার ৩১ আসনে একযোগে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উত্তেজনা। কোথাও চলে প্রার্থীর ওপর হামলা, আবার কোথাও কোথাও এজেন্টকে মারধর করে আতঙ্ক তৈরির মতো ঘটনাও সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়।
তৃতীয় দফায় ৩১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ২০৫ জন প্রার্থী। নির্বাচনের তৃতীয় দফায় কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলী জেলার ৩১ আসনে ২০৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, পাপিয়া অধিকারী ও তনুশ্রী চক্রবর্তীর মতো তারকা এবং রাজনীতিকরা।
গত ২৭ মার্চ প্রথম দফা এবং ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হন। আগের দুই দফায় ৬০ এবং তৃতীয় দফায় ৩১ আসনের ভোটগ্রহণ শেষ হলেও পরবর্তী পাঁচ দফায় বাকি ২০৩ আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন। এদিকে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা করোনার সংক্রমণ মোকাবিলা করেই ভোট উৎসব শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন। আগামী ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৮ দফা শেষে ২ মে প্রকাশ করা হবে ১৭তম পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল।