মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,নোয়াখালীর সেনবাগে মোটরসাইকেল আরোহীকে সাইড দেরী হওয়ায় তর্কাতর্কীর এক পর্যায়ে মোঃ নাজমুল হাসান নামের এক ডাক্তারকে মারধর করার অভিযোগে
মোঃ ইউনুস (৩১) নামের এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ।
ডাক্তার মোঃ নাজমুল হাসান দাগনভূঁঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল
অফিসার ও সেনবাগ উপজেলার ৮নং বীজবাগ ইউনিয়নের শ্যামেরগাও গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
আটক মোঃ ইউনুস সেনবাগ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ছয়বাড়ীয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
জানাগেছে,মঙ্গলবার (২৯মার্চ)দুপুরে দাগনভূঁঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোঃ নাজমুল হাসান সেনবাগে একটি জমিনের রেজিষ্ট্রে শেষে তার
ব্যাক্তিগত গাড়ীটি উপজেলা চত্বরে গিয়ে ঘোরানোর সময় পিছন থেকে মোটরসাইকেল আরোহী মোঃ ইউনুস হর্ন দেয় তাকে সাইড দেওয়ার জন্য।
কিন্তু প্রাইভেটকারটির পেছনে থাকা মোটরসাইকেল আরোহীকে সাইড দিতে দেরী হওয়ায় এই নিয়ে ডাক্তার ও সাইকেল আরোহীর মধ্যে কথা কাঠাকাটি হয়।
যার এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল আরোহী মোঃ ইউনুস ডাক্তারকে আঘাত করলে ডাক্তার মোঃ নাজমুল হাসানের হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়।
পরবর্তী ডাক্তার নাজমুল হাসান সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেএ গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে।
এরপর ডাক্তারে অভিযোগের ভিত্তিতে সেনবাগ থানা পুলিশ অভিযুক্ত মোঃ ইউনুস কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ইউনুসকে আটকের পর তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সেনবাগ উপজেলা পরিষদের ভাই সচেয়ারম্যান গোলাম কবিরের সমর্থকরা সেনবাগ-চন্দেরহাট-সোনাইমুড়ী সড়কের সেনবাগ
থানার মোড়ে সড়ক অবরোধ সৃষ্ঠি করলে কিছু সময় ওই সড়কে গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় পুলিশের এ্যাশনের তারা সড়ক থেকে চলে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনুছ নিজেকে নির্দোশ দাবী করে জানায়, ডাক্তারের কারনে তার হাতে সমস্যা হয়েছে এজন্য তার কোন দোষ নেই।
এব্যাপারে সেনবাগ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কবিরের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তিঁনি ফোন রিসিভ করেননী।
এ বিষয়ে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচাজর্ (ওসি) মোঃ ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে রাত সাড়ে ৮টার সময় জানান, ঘটনায়
ভুক্তভোগী চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে ইউনুসকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।