মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,নোয়াখালীর সেনবাগে কালবৈশাখী ঝড়ে কাঁচা ঘরবাড়ি,গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুটি ও ইরি-বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সেনবাগ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ওই কালবৈশাখী ঝড়ে কাবিলপুর, ডমুরুয়া,কাদরা, কেশারপাড়, অজুনতলা, ছাতারপাইয়া, মোহাম্মদপুর, বীজবাগ ও
নবীপুর ইউনিয়য়নের কাঁচা ঘরবাড়ী বিধস্ত, গাছপালা ও ইরি-বোরা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে গাছ ভেঙ্গে বৈদ্যুতিক খুটির ওপর পড়লে বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
এ ছাড়াও গাছ ও বৈদ্যুতিক খুটি রাস্তার ওপর পড়লে প্রতিবন্দকতা সৃষ্টি হয় এবং যানবাহন চলাচলে বিগ্ন ঘটে। অনেক স্থানে ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে ঘরবাড়ী বিদ্ধস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টার পর্যন্ত উপজেলার অনেকস্থানে বিদ্যুৎ স ালন লাইল মেরামত করতে না পারায় এলাকাগুলোতে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে বুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্ঠি হয়।
রাত ১০ টার সময় সেনবাগ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানাজার (ডিজিএম) এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননী।
শায়েস্তানগর গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক মোঃ সোহেল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ,আকাশে একটু মেঘ দেখা দিলেই পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন।
বেলা ১১টার সময় বিদ্যুৎ বন্ধ করা হলে দীর্ঘ ১২ঘন্টা অতিবাহিত হলেও এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন চালু করা হয়নি। কখন চালু হবে তা জানেন না।
ঝড়ের কারণে ক্ষয়ক্ষতি খোজ নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানায় ক্ষয়ক্ষতির কোন তথ্য রাত ১০ টা পর্যন্ত
ইউপি চেয়ারম্যানরা তাকে অবহিত করেননী। তবে,ঝড়ে বৈদ্যুতি খুটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে স্বীকার করে বলেন এই কারনে কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।