বশির আলম- গাজীপুরের টঙ্গীতে শ্বশুর বাড়ির মানসিক চাপে নুসরাত জাহান মীম (২১) নামের এক নববধুর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২২ জুলাই) রাতে টঙ্গীর দত্তপাড়া সিরাজ উদ্দিন সরকার রোডে মীম তার বাবার বাড়িতে নিজ কক্ষে গলায় ওরনা পেচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহতের স্বজন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত রমজান মাসে পারিবারিক ভাবে একই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মোঃ ইমরান হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান মীম। ইমরান পেশায় একটি অভিজাত হোটেলের ওয়েটার ছিলেন।
বিবাহের পর থেকেই ইমরান তার স্ত্রী নুসরাত কে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন তবে মেয়ের সুখের জন্য কিছুই বলতেন না আনোয়ার হোসেন। বিয়ের পর থেকে ইমরান পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
নিজ পিতার বাড়িতে থেকেও স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য বাড়ির বাইরে যেতে পারতো না নুসরাত। নুসরাতের উপর নির্যাতনের বিষয়ে ইমরানের বাবা আবু তাহের ও ভাই মিরাজ হোসেন কে জানালেও ছেলেকে আরো উসকিয়ে দিতেন তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২শে জুলাই শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় ইমরান বাড়ির বাইরে থেকে নুসরাতের মুঠোফোনে কল দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে সে আর সংসার করবে না। এছাড়াও আত্মহত্যা করে মরে যাওয়ার প্ররোচনা দেয়।
এতে রাগ হয়ে নুসরাত তার হাতের মুঠোফোনটি ভেঙে ফেলে এবং নিজ কক্ষে গিয়ে দরজা আটকে দেয়। দীর্ঘ সময় ঘরের দরজা না খোলায় বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করার পর নুসরাতের ওড়না পেচানো লাশ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন।
এরপর দ্রুত স্থানীয় থানা প্রসাশনকে জানানো হলে পুলিশ এসে নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে ২৩ জুলাই বাদ জোহর নুসরাতের মরদেহ দাফন করা হয়।
এবিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাভেদ মাসুদ বলেন, এ বিষয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার একটি মামলা হয়েছে এবং স্বামী ইমরান হোসেন কে গ্রেফতার করা হয়েছে, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।