বশির আলম মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী বাড়িতে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ডাকাতের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করছে পিবিআই গাজীপুর জেলা পুলিশ। এই ঘটনায় আওমীলীগনেত্রী হাজেরা বাদী হয়ে কোনাবাড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ দীর্ঘ ৭ মাস তদন্ত করে
ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন
(পিবিআই) গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছেদুর রহমান জানান, ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর গাজীপুর কোনাবাড়ি থানা এলাকায় মহিলা আওয়ামী লিগের আহ্বায়ক হাজেরা বেগমের বাসার গেটে এসে সোহেল, শ্রী সজন সহ কয়েকজন হাজরাকে ডাকতে থাকে হাজেরা তাদের
পরিচয় জানতে চাইলে তারা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার সামাজিক কর্মকার্তা সহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিষয় সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা বলে। পরে হাজেরা তাদেরকে বাসায় ঢুকার অনুমতি দেয় । সাংবাদিক পরিচয় ডাকাত দল তার বাসায় ঢুকে তাদের সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ভয়
দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে তার কাছ থেকে আলমারির চাবি নিয়ে আলমারিতে রাখা নগদ তিন লাখ টাকা সাড়ে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার সহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় হাজেরা বেগম বাদী হয়ে কোনাবাড়ি থানায় মামলা নং-১৮ তারিখ
২৮/১১/২০২০ দায়ের করেন। থানা পুলিশ দীর্ঘ সাত মাস মামলাটি তদন্ত করে কোন ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত এবং লুট হওয়া নগদ অর্থ মালামালের রহস্য উদঘাটন করতে না পাড়ায় পুলিশ সদর দপ্তর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুর জেলাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
পরে জেলা পুলিশ সুপার মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন পিবিআই গাজীপুর পরিদর্শক মোঃ জাহিদুল হক কে। তন্তকারি কর্মকর্তা জাহিদুল হক জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোঃ সোহেল (৩৪) কে জিএমপি কোনাবাড়ী, দেউলিয়াবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করি। সোহেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী
শ্রী সাজন (২৮) কে ও স্থানীয় নতুন বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
এ বিষয়ে পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছেদুর রহমান বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত লুন্ঠনের ঘটনা। গ্রেফতারকৃত সোহেল গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ি থানার নতুন বাজার এলাকার
জিন্নাত আলীর ছেলে এবং শ্রী সাজন একই এলাকার হীরালালের ছেলে। গ্রেফতারকৃতদের ১৬৪ দ্বারা জবান বন্দি শেষে জেলহাতে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন পরে এই ডাকাতির ঘটনা উদঘাটন হওয়ায় গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিপিআই) এর প্রতি এলাকার সাধারণ জনগণ খুশি
এবং তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এই চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনার উদ্ঘাটন করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা সহ মালামাল উদ্ধার করায় পিবিআই পুলিশ সুপার কে, সুশীল সমাজ ও এলাকার এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।