বশির আলম,গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন ডেগেরচালা এলাকায় এক মাদ্রাসার ছাত্রকে ধর্ষণ ও সহযোগিতার অভিযোগে অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম) মো. আবু সায়েম নয়ন এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তাররা হলেন- ধর্ষণের অভিযোগ উঠা শিক্ষক ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার রাখাল
বুরুজ এলাকার আব্দুর রহমান ওরফে শান্ত ইসলাম (২২), মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (মোহতারিম) ও মুন্সীগঞ্জ সদরের জাজিরা এলাকার মো. ইসমাইল (৪৪), নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার আমিরপুর
এলাকার ফকরুল ইসলাম (২৭) ও ময়মনসিংহ সদরের চরপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমান (৩২)।শিশুর বাবার বরাত দিয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার জানান, গাছা থানাধীন ডেগেরচালা এলাকার
মঈনুল ইসলাম হামীয়ুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় গত ৮ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক শান্ত ইসলাম ওরফে আবদুর রহমান এক শিশু ছাত্রকে ধর্ষণ করেন।
ওই ছাত্রকে বিস্কুট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে তার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন শান্ত ইসলাম। পরে শিশুটি ঘটনাটি তার বাবাকে জানালে তিনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ অন্য দুই শিক্ষককেও ওই বিষয়ে
অভিযোগ দেন। অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দিলেও তারা কৌশলে কালক্ষেপণ করেন, যাতে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যায়।
১২ সেপ্টেম্বর শিশুটির বাবা আবারও শিক্ষকদের কাছে গেলে তারা জানায়, পরীক্ষা শেষ হলে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
গাছা থানার ওসি মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান, ভিকটিমের বাবা কোনও প্রতিকার না পেয়ে ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করেন।
পুলিশ সোমবার বিকেলে শিক্ষক শান্ত ইসলামকে আটক করতে গেলে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ অন্য দুই শিক্ষক পুলিশের কাজে অসহযোগিতা ও বাধা দেয়।
পরে সোমবার মধ্য রাতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে গাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
পরে ওই রাতেই শিক্ষক এবং মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ আরও দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।