রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
spot_img
Homeসারাদেশঢাকাবিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে শুক্রবার মুসল্লিদের ঢল।

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে শুক্রবার মুসল্লিদের ঢল।

বশির আলম,শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এর আগে বৃহস্পতিবারই ইজতেমা ময়দানের দুই তৃতীয়াংশ জায়গা পূরণ হয়ে গেছে।

ইজতেমার এ পর্বে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোর থেকেই দেশ-বিদেশের মুসল্লিদের ময়দানে আসতে দেখা যায়।

প্রথম পর্বের মতো এবারও সমানসংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত থাকবেন বলে আশা ইজতেমা আয়োজক কমিটির। আগামী রোববার (২২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব।

আজ সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিরা মালপত্রের ব্যাগ, বস্তা ও লাগেজ নিয়ে নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন।

তারা জানান, হেঁটে, ট্রাকে, পিকআপে যে যেভাবে পেরেছেন ইজতেমায় পৌঁছেছেন।

মাওলানা সাদপন্থি তাবলিগ জামাতের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানান, ইজতেমায় বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তাবলিগ জামাতের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেন। এখানে

তারা শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন এবং ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে যান।

তিনি বলেন, দেশের সব জেলা থেকে ৮৫ খিত্তা করা হয়েছে। প্রতি খিত্তার জামাত, সেন্ট্রাল জামাতসহ দুই জামাতের প্রায় ২০ হাজার সাথি ময়দানে অবস্থান করছেন। তাদের নিয়ে সকাল থেকে ময়দানের বিভিন্ন বিষয়ে বয়ান হয়েছে।

ইজতেমায় আগত সাধারণ মানুষের ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের সুবিধার্থে ম্যাপ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকারের নির্দেশনা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন

পরিকল্পনা করে কোন বিভাগের গাড়ি কোথায় পার্কিং করা থাকবে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা, কোন রাস্তা কখন খোলা বা কখন বন্ধ থাকবে সে নির্দেশনাও প্রদান করা হয়েছে।

ইজতেমার নিরাপত্তার জন্য ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সাদা পোশাক ও পোশাকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।

ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ ১৪টি কন্ট্রোলরুম তৈরি করেছে। র‌্যাবের কন্ট্রোলরুম রয়েছে। ডিএমপিও তার এলাকায় কন্ট্রোলরুম খুলছে।

এছাড়া রয়েছে এসবি, এটিও, সিআইডি, নৌপুলিশ, রয়েছে অবজারভারভেশন টিম, র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল, ডগ স্কোয়াড টিম, মোবাইল পেট্রোল এবং বোম ডিস্পোজাল টিম।

ইজতেমায় আসা যাওয়ার জন্য দুই পর্বেই পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করেছে রেলওয়ে।

গাজীপুরের স্বাস্থ্য বিভাগের সকলের ছুটি বাতিল করা হয়েছে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। এছাড়া ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত শয্যা স্থাপন করা হয়েছে। শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং ওষুধ বিতরণ করবে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, প্রায় সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ইজতেমার নিরাপত্তায় নিয়োজিত। কয়েকটি স্তরের

এ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ইজতেমা ঢেকে রাখা হয়েছে। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন ঘটতে না পারে, সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ