বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
spot_img
Homeক্যাম্পাসকুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ পেলেন সাংবাদিক কন্যা লুবনা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ পেলেন সাংবাদিক কন্যা লুবনা

মোঃ দুদু মল্লিক শেরপুর প্রতিনিধি অদম্য ইচ্ছা ও মনোবলের সাফল্য হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩ সালে ২য় বারের মতো ভাইস-চ্যান্সেলর স্কলারশিপ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীর সাংবাদিক কন্যা কৃতি শিক্ষার্থী লুবনা জামান।

সে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেজ ফ্যাকাল্টিতে সর্বোচ্চ সি,জি,পি ৩.৯৫ পেয়ে এ খ্যাতি লাভ করেন। ইতিপুর্বে ২০২২ সালেও সে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ফ্যাকাল্টিতে প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর এওয়ার্ড পেয়েছিল।

ছোটকাল থেকেই অভিনয়,বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতায় পারদর্শী মেধাবী লুবনা ৫ম ও ৮ম শ্রেণীতে জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল।এসএসসি পরীক্ষাতেও সে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল।

লুবনা ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের শিক্ষক দম্পতি সাংবাদিক কন্যা এসএম আমিরুজ্জামান লেবু ও জেসমিন জামান-এর প্রথম সন্তান।সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃত্তির চেক

হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি’র সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার প্রফেসর ড.মোঃ আসাদুজ্জামান, বিএনসিসি রেজিমেন্ট কমান্ডার ল্যাফটানেন্ট কর্নেল মোঃ কামরুল ইসলাম, কুমিল্লা স্থানীয়

সরকারের উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান এবং কবি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন.এম. রবিউল আউয়াল চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মুহ. আমিনুল

ইসলাম আকন্দ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আজকের এই দিনটিকে আমাদের সবার জন্য বিশেষ করে তুলেছে বৃত্তিপ্রাপ্তরা।

বাংলাদেশে সম্ভবত আমরাই প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, যারা ভর্তি পরীক্ষার আয় থেকে তহবিল গঠন করে মেধার স্বীকৃতি এবং অন্তর্ভূক্তি বৃদ্ধির জন্য এই বৃত্তি চালু করেছি।

দ্বিতীয়বারের মতো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত। একাডেমিক লাইফে শিক্ষার্থীরা যে সাফল্য,প্যাশন, অধ্যবসায় প্রদর্শন করেছে তার স্বীকৃতিস্বরূপ এই স্কলারশিপ তাদেরকে

দেয়া হচ্ছে। গতবছর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম নতুন বছরে আরও বৃহৎ পরিসরে বৃত্তি দিবো, আমি সে কথা রেখেছি। এই বছর স্কলারশিপের সংখ্যা প্রায় ৪০% বৃদ্ধিসহ স্পোর্টস স্কলারশিপ চালু করতে পেরে আমরা

আনন্দিত। কারণ আমরা বিশ্বাস করি যা একাডেমিক মান বৃদ্ধির পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। স্কলারশিপ প্রোগ্রাম গতবছর শুরু করেছিলাম এবং এটি এখানে শেষ নয়। একাডেমিক মেধার স্বীকৃতি দিতে এই প্রোগ্রাম চলমান থাকবে বলে তিনি ঘোষণা করেন।

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক শেরপুর প্রতিনিধি।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ