শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গোপালখিলা গ্রামে বসতঘরে সিঁদ কেটে প্রবেশ করে মো: সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মোছা: নুরজাহান বেগম (৩২) নামে এক মহিলা ও তার সাত বছর বয়সী কন্যা নাদিফা কে জবাই করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে একই গ্রামের মো: আ: ছালামের পুত্র মোঃ শাহিন মিয়া কে আটক করেছে শ্রীবরদী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় একাধিক দুর্বৃত্ত জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।গত ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মো: সাইফুল ইসলামের গোপালখিলার নিজ বসতবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটেছে।ভুক্তভোগী নুরজাহান বেগম ও তার কন্যা নাদিফা গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। আহত নুরজাহান বেগমের মুখমণ্ডল,গলা এবং বুকে সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরি দ্বারা এলোপাথাড়ি আঘাত করা হয় বলে জানিয়েছেন তার স্বজনেরা। এবং হামলাকারী তার মেয়ে নাদিফাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে।এতে নুরজাহানের গলায় ৮৬ টি সেলাইয়ের প্রয়োজন হয়েছে বলে তার স্বামীর বড় ভাই জানিয়েছেন। কন্যা নাদিফার শরীরও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।এই ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন সহ গ্রামের মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনার আকস্মিকতায় রক্তপাত দেখে আব্দুস ছামাদ নামে এক লোক মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। ওই এলাকার মানবাধিকার কর্মী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আহমেদ জানান,এমন ঘটনা আমাদের গ্রামে আগে কখনো ঘটেনি। যারাই দোষী হোক আমরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করি।এব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, “এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে । আমরা শাহীন মিয়া নামে এক অভিযুক্তকে আটক করে রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করা হবে।