শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
spot_img
Homeপ্রধান সংবাদপুলিশের গুলিতে দুই শ্রমিকের লাশ! ছেলের কান্না এখন আমাদের খাওয়াবে কে

পুলিশের গুলিতে দুই শ্রমিকের লাশ! ছেলের কান্না এখন আমাদের খাওয়াবে কে

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক শেরপুর: চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনে ঢাকার উত্তরা আব্দুল্লাহপুর এলাকায় পুলিশ ও কোটা বিরোধীদের মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে শেরপুরের দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

১৯ জুলাই শুক্রবার সকালে তাদের লাশ শেরপুরে এসে পৌঁছায়। এরা দুইজনই শেরপুর জেলার শ্রীবরর্দী উপজেলার গড়জরিপা ইউনিয়নের চাউলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,শ্রীবরর্দী

উপজেলার গড়জরিপা ইউনিয়নের চাউলিয়া মোর এলাকার আব্দুল হক(ইলি)মিয়ার পুত্র রিকশা চালক বকুল মিয়া(৩০)পেটের দায়ে ঢাকা রিকশা চালাতেন।১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা সময় বাসা থেকে বের হলে

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তার গায়ে পুলিশের গুলি লাগে।এসময় পুলিশের ছুড়া গুলি তার মাথার সামনের অংশ দিয়ে লেগে পিছনের দিক দিয়ে বের হয়ে যায়।পরে তাকে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান পথচারীরা।

ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩ টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন। তার লাশ শুক্রবার দুপুরে এম্বুল্যান্সে করে শেরপুরে তার নিজ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। দুই সন্তানের জনক বকুল মিয়ার। লাশ দাফন করার সময়

৯ বছরের ছোট ছেলে সাংবাদিকদের কাছে কান্না করে বলেন এখন আমাদের খাওয়াবেন কে? আমাদের তো আর কিছু নেই বাবা ছাড়া।দাফনের বিষয়টি তার ছোট ভাই মো.বিশু মিয়া নিশ্চিত করে বলেন বকুল মিয়া আমার বড় ভাই আলাদা সংসার জমাজমি কিছু নেই রিকশা চালানোর টাকা দিয়েই চলতো তার ৪ জনের পরিবার।

এছাড়া একইদিনে শ্রীবরর্দী উপজেলার গড়জরিপা ইউনিয়নের পশ্চিম চাউলিয়া এলাকার জয়েন উদ্দিনের ছেলে লেগুনা চালক আশাদুল(২৩)ঢাকায় লেগুনা চালাতো।গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার দিকে দুই

পক্ষের সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে যায়।এসময় তার গায়ে চারটি গুলি লাগে পেটের মধ্যে,কোমরে, নাবির নিচে ও দুই হাতে।পরে পথচারীরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। সে গত

এগারো মাস আগে শুভবিবাহ করেন এবং তার স্ত্রীর গর্বে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।১৯ জুলাই শুকবার সকাল ৭ টায় তার লাশ শেরপুরের নিজ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের বাবা জয়েন উদ্দিন।

এসময় তার বাবা বলেন আমার কোনো জমাজমি নেই এক মাত্র এই ছেলের রোজগারের টাকা দিয়েই চলতো আমার সংসার আমার আর কোনো ছেলে মেয়ে নেই এই ছেলে যা কামাই করতো তা দিয়েই চলতো আমাদের সংসার। নিহত দুই শ্রমিকের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর সু দৃষ্টি কামানা করেন।

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো.আকরামুল হোসেন পিপিএম দুইজনের লাশ শেরপুরের শ্রীবরর্দী এসেছে আমি জানতে পারছি বলে সত্যাতা নিশ্চিত করেন।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ