মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বাঁশের সাকোঁই তিন গ্রামের জনসাধারনের চলাচলের একমাত্র ভরসা! গ্রাম ৩টি হচ্ছে উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের চাপাঝুড়া, উত্তর দাড়িয়ারপাড়, ধানশাইল পূর্বপাড়া।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রাস্তা ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হলেও স্বাধীনতার পর এই তিন গ্রামে রাস্তা ঘাটের কোন উন্নয়ন হয়নি। হয়নি কোন ব্রীজ কালভার্ট।
গ্রামবাসীদের উদ্যোগে একাধিক বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে কোন মতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুস্ক মৌসুমে যাতায়াত করা সম্ভব হলেও বষার্র মৌসুমে কঠিন হয়ে পড়ে।
অনেক তয়- তৎবির আর গ্রামবাসীদের অনুরোধে ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে এলজিএসপি’র প্রকল্পের অর্থায়নে একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করে দিলেও বছর না ঘুরতেই কালভার্টটি ভেঙ্গে হেলে
পড়ে। এই গ্রামগুলোতে কোন লোক অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বা কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে উপায় নেই সরাসরি কোন যান-বাহন প্রবেশ করার। অদৃশ্য কারণে কোন জনপ্রতিনিধিই ওই এলাকার উন্নয়নে এগিয়ে আসেন না।
তবে ভোটের সময় নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নেন। ভোটের সময় পাড় হলে আর কোন খোঁজ নেননা ওইসব জনপ্রতিনিধিরা, এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীদের। ধানশাইল গ্রামের জামাল ফকির, চাপাঝুড়া গ্রামের আব্দুল্লাহ,
উত্তর দাড়িয়ারপাড় গ্রামের জাকির হোসেন, শিক্ষক আল হারুন সহ আরো অনেকে জানান, দেশ যখন উন্নয়নের মহা সড়কে অবস্থান করছে, তখন আমাদের এলাকাটি রাস্তা ঘাটের অভাবে জীবন যাত্রার মান অনেক পিছিয়ে।
শুধু মাত্র রাস্তা ঘাটের অভাবে আমাদের এলাকায় ভাল কোন পরিবার বিবাহ দিতে বা করাতে উৎসাহ দেখান না। তাদের দাবী, এই তিন গ্রামের মাঝে দুটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে রাতারাতি পাল্টে যাবে গ্রামগুলোর দৃশ্যপট।
এলাকাবাসী দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ওই তিন গ্রামের জনসাধারণের দুর্ভোগ লাগবের অনুরোধ জানান।ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম জানান, জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক মহোদয়ের মাধ্যমে ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে ওইসব এলাকার জন্য ব্রীজের চাহিদা দেওয়া আছে।
অনুমোদন পেলে সেখানে ব্রীজ তৈরী সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। সরেজমিনে পরিদর্শণ পূর্বক কতৃর্পক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।