মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জে একদিকে একই পরিবারের ৪ জনকে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার ও নগদ লুট করে নিয়েগেছে ডাকাতরা। অন্যদিকে ইয়াবা ও গাঁজাসহ ১ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতের নাম- শাহনাজ মিয়া (৫০)। সে জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের লগড়ী গ্রামের মায়া মিয়ার ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্ভর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ডাকাত শাহনাজ মিয়াকে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে। আর অজ্ঞান ৪ জনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল বুধবার (১৫ সেপ্টেম্ভর) রাত অনুমান ১১টায় জেলার ছাতক উপজেলার নোয়ারাই আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী লালু শাহ (৫০), তার স্ত্রী সাজিয়া বেগম (৪১), ছেলে শাকিল শাহ (২৪) ও সুহেল শাহ (২১) রাতের খাবার খেয়ে যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়ে।
কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্ভর) সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যাওয়ার পরও কারো ঘুম ভাংগেনি। ব্যবসায়ী লালু শাহর আত্মীয় স্বজনরা অনেক ডাকাডাকি করেও কারো সাড়া না পেয়ে অবশেষে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে।
পরে ৪ জনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এব্যাপারে ব্যবসায়ী লালু শাহ চাচাতো ভাই মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ডাকাতরা আমার ভাইয়ের পরিবারে সবাইকে অজ্ঞান করে ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত কারো জ্ঞান ফিরেনি।
অন্যদিকে জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের লহরী গ্রামে এসআই রাজিব আহমদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে শাহনাজ মিয়া নামের এক চিহ্নিত ডাকাতকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার ঘর তল্লাশী করে ৪৯ পিস ইয়াবা ও ২৫০ গ্রাম উদ্ধার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি ও মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। এঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।