কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর দেড় লাখ টাকা মূল্যের তিনটি কড়াই গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের মন্ডল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ রহিমা বেগমের যোগসাজশে ওই এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের তিনটি গাছ সরকারি জায়গায় দেখিয়ে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের মন্ডল পাড়া এলাকার বাসিন্দা মোয়াজ্জেম হোসেন। ওই এলাকার মন্ডল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে বৃহত্তর তিনটি কড়াই গাছ ছিল তার।
এবং তাদের দাবি ওই গাছের মালিক তারা। মালিকানাধীন গাছ তিনটি প্রধান শিক্ষিকার যোগসাজশে সরকারি স্কুলের দাবি করে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। পাশাপাশি ২-৩ শতক জমিও দখল করে দেয়াল দেওয়ার সময় পরিবারটি স্কুলের কাজ আটকে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমি বাড়িতে না থাকার সুবাদে আমার জায়গায তিনটি গাছ কেটে টেন্ডারের মাধ্যমে নিলামে দিছে প্রধান শিক্ষিকা। তাছাড়াও আমার জায়গা দখল করে দেয়াল দিচ্ছে আমি বাঁধা দিয়েছি অনেক দাপট দেখিয়েছেন তারা।
কেটে নেওয়া গাছ তিনটির দাম প্রায় দেড় লাখ টাকা। আমি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন করি তারা যেন আমার গাছ ও আমার জায়গা ফিরিয়ে দেয়।
স্থানীয় শাহানুুর মিয়া বলেন, তাদের জায়গা, তাদের গাছ প্রধান শিক্ষিকা কেটে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়েছে। কথায় আছে জোড় যার মুল্লুক তার। তাছাড়াও এই স্কুলের শিক্ষকরা ১১-১২ টা ছাড়া স্কুলে আসে না। এখানে আর আগের মত লেখাপড়া হয় না।
ওই এলাকার নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন বলেন, গত ৩০ বছর ধরে দেখে আসছি এই জায়গা ও গাছের মালিক মোয়াজ্জেমরা। গাছ কেটে নিলামে বিক্রি করার সময় আমি প্রধান শিক্ষকাকে বলেছি গাছগুলো না কাটতে। তারা আমাদের কোন কথাই শোনেননি।
এ বিষয়ে মন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ রহিমা বেগম বলেন, আমরা সরকারি বেসরকারি (সার্ভেয়ার) আমিন দিয়ে জায়গা মেপেছি। এবং গাছগুলো সরকারি, তাই টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলের জায়গায় দেয়াল দেয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি এবিষয়টি সম্পর্কে বলতে পারছি না। তবে খোঁজ নিয়ে জানাতে পারবো।