শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
spot_img
Homeপ্রধান সংবাদটঙ্গীতে সাংবাদিকের উপর হামলা গ্রেফতার --৭।

টঙ্গীতে সাংবাদিকের উপর হামলা গ্রেফতার –৭।

টঙ্গীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত দেড়টার দিকে টঙ্গী পশ্চিম থানার প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে ।

সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করার সময় এশিয়ান টেলিভিশন ও বার্তা বাজার গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি আরিফ চৌধুরীর ওপর হামলা চালায় টঙ্গী পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এনামুল হক অনিক

ও তার সহযোগীরা। হামলাকারীরা গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুর মোহাম্মদ মামুন ও সাবেক ৫৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.সেলিম মিয়ার অনুসারী থানা পুলিশ

জানায়।পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত ১১ দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এনামুল হক অনিক এর নেতৃত্বে ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায় টঙ্গী পশ্চিম থানা ছাত্র লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী রাশেদ

খান মেননের বাড়িতে। সেখানে রাশেদ খান মেননকে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। পরে মেননের অনুসারী মো.নুর আলম ও তার মা নুরজাহান কে বেদম মারধর করে ৷

এঘটনায় রাতে থানায় অভিযোগ করতে গেলে মেনন, নুর আলম ও তার মা নুরজাহান বেগম অভিযোগ দায়ের করে ফিরে যাওয়া সময় থানার সামনে এনামুল হক অনিক ও তার কিশোর গ্যাং বাহিনী আবারো তাদের উপর হামলা চালায়।

এসময় খবর পেয়ে এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক আরিফ চৌধুরী সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণা করে । ধারণ করায় সাংবাদিক আরিফ চৌধুরীর সাথে বাকবিতণ্ডা হয় কিশোর গ্যাং বাহিনীর নিয়ন্ত্রক আশরাফুল ইসলাম বাবু সাথে।

পরে সাংবাদিক আরিফ চৌধুরী তার পরিচয়পত্র দেখায় । সাংবাদিকের পরিচয় পত্র দেখানোর পরও আশরাফুল ইসলাম বাবু এনামুল হক অনিক সহ বেশ কয়েকজ আরিফ চৌধুরীকে বেধড়ক মারধর করে তার পরিচয় পত্র মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় ।

এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে আরিফ চৌধুরী বাদি হয়ে,টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো,টঙ্গী পশ্চিম থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ও কাঁঠাল দিয়া এলাকরার শাহীন মিয়ার ছেলে রাশেদ খান মেনন(২৫),স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী ও কাঁঠাল দিয়া এলাকার জামাল

মিয়ার ছেলে এনামুল হক অনিক (৩১), একি এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে তাইজুল ইসলাম, টঙ্গী পূর্ব থানাধীন গোপালপুর এলাকার নাসিরউল্লার ছেলে রিফাত হোসেন (২৩)কাঁঠাল দিয়া এালাকরার

ইউসুফ মিয়ার ছেলে আল-আমীন (৩৯),আহম্মেদ আলীর ছেলে মোজাফফর (২৮) ও বড় দেওরা এলাকার বাদল হোসেন মিয়ার ছেলে আজহার (১৭)।

টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করেছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এর মধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে ।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ