সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারীরা। তারা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে কয়লা, পাথর, চিনি, চাল, মাদকদ্রব্য, গরু ও নিষিদ্ধ বিড়ি পাচাঁর করছে। পুলিশ ও বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে পৃথক ভাবে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে- প্রতিদিনের মতো আজ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ভোর থেকে জেলার তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, লামাকাটা, কলাগাঁও, এলসি
পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে গডফাদার হাবিব সারোয়ার (তোতলা আজাদ) এর সোর্স রফ মিয়া, রিপন মিয়া, শামীম মিয়া, সুলতান মিয়া, খোকন মিয়া ও নেকবর মিয়াগং, বালিয়াঘাট ও টেকেরঘাট সীমান্তের বরুঙ্গাছড়া, রজনীলাইন, বড়ছড়া, টেকেরঘাট, লাকমা ও লালঘাট এলাকা
দিয়ে ইয়াবা কালাম, জিয়াউর রহমান জিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, ইসাক মিয়া ও কামাল মিয়াগং সহ চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, গারোঘাট, রাজাই, বারেকটিলা ও লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, শাহ আরেফিনের মোকাম, পুরান লাউড় এলাকার চোরাই পথে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে
ভারত থেকে পৃথক ভাবে কয়লা, পাথর ও মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন প্রকার মালামাল পাচাঁর শুরু করে। এখবর পেয়ে সকাল ১১টায় অভিযান চালিয়ে চারাগাঁও সীমান্ত থেকে অবৈধ কয়লাসহ চোরাকারবারী রুহুল আমিন নজির (২৫) কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে বিজিবি। অপরদিকে মধ্যনগর উপজেলার
সদরের সুমেশ^রী নদীর খেয়াঘাট সংলগ্ন পিপড়াকান্দা বাজারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫০ কেজি ওজনের ২৪বস্তা (১২০০ কেজি) ভারতীয় চিনিসহ চোরাকারবারী রতন মিয়া (৩১) ও জলিল মিয়া (১৯) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এব্যাপারে মধ্যনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান- গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তারা উপজেলার মহেষখলা ও গুলগাঁও সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে চিনিসহ বিভিন্ন পন্য সামগ্রী পাচাঁর করে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করতো।
সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমান বলেন- চোরাই কয়লাসহ গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারীকে থানায় সোপর্দ করে মামলা দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করছি।