মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের হলদীগ্রাম বাজারের নামে রেকডিও জমি লিখে দেয়া সত্বেও সড়কের উপর বসছে বাজার। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও পথচারিরা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,
হলদীগ্রাম (গারোকোনা) বাজারটি সকাল বাজার ও সবজি বিক্রির পল্লী হিসেবে খ্যাত একটি বিখ্যাত বাজার। এ বাজারের
আশে পাশে সরকারি যথেষ্ট খাঁস জমি থাকলেও প্রশাসনের উদ্যোগে বাজারটির জন্য এ পর্যন্ত কোন খাঁস জমি উদ্ধার করে সড়ক থেকে বাজারটি স্থানান্তরের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি।
এই বাজারটিতে হলদীগ্রাম, গুমরা, ফাকরাবাদ, মানিককুড়া, কুছাইকুড়া, নলকুড়া ও সমশ্চুড়া সহ আশপাশ প্রায় ৮/১০টি গ্রামের শতশত কৃষক তাদের উৎপাদিত শাকসবজি বিক্রির উদ্দেশে উক্ত বাজারে নিয়ে আসেন।
স্থানীয় পাইকার সহ জেলা শহরের পাইকারগণ উক্ত বাজার থেকে প্রতিদিন কয়েক মেট্রিক টন শাকসবজি ক্রয়ের পর রপ্তানী করেন ঢাকার কাওরান বাজার, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
কিন্ত বাজারের নির্ধারিত জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়েই বছরের পর বছর হাট বসছে সীমান্ত সড়কের উপর। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যানবাহন চলাচল সহ পথচারী ও ক্রেতা বিক্রেতারা।জানা গেছে, এসব সমস্যা সমাধানকল্পে
হলদীগ্রাম নিবাসী জৈনক সামছুদ্দিন খোকন ও আনোয়ার হোসেন হলদীগ্রাম মৌজার ৭১ও ১৪১ নং খতিয়ানভুক্ত ১৪৫ ও ১৪৮ নং রেকডিও দাগ থেকে হলদীগ্রাম বাজারের বিপরীতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসকের নামে ১৫ শতক জমি রেজিস্ট্রিমুলে লিখে দেন।
পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসেনর পক্ষ থেকে ওই জমির চারিপাশে লাল নিশাণ দ্বারা চিহ্নিত করে দেন। কিন্তু বাজারের একশ্রেণীর লোকজন নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে নির্দ্দিষ্ট জায়গাতে দোকান না বসিয়ে মহা সড়কের উপরেই বসাচ্ছেন দোকানপাট।
এতে যান জট সহ জনসাধারনের চলাচলের মারাত্মক বিঘ্ন ও বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়। এ কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে এই বাজারে।বাজার ইজারাদার আব্দুস সালাম এ প্রতিনিধিকে জানান, হলদীগ্রাম চৌরাস্তা বাজারটি প্রায় ৫ লক্ষ টাকা রাজস্ব্য জমা দিয়ে ইজারা নিয়েছি।
কিন্তু সড়কের উপর বাজার বসায় ক্রেতা বিক্রেতারা ঠিকমতো জমা দিতে চায়না। এ নিয়ে প্রায়শই তাদের সাথে ঝগড়া করতে হয়। তিনি আক্ষেপের সাথে আরো জানান, বাজারের নামে নির্দিষ্ট জমি থাকা সত্বেও সেখানে অদৃশ্য কারণে বিক্রেতারা যেতে চায়না।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।স্থানীয় ক্রেতা, বিক্রেতা ও পথচারীরা হলদীগ্রাম বাজারটিকে সড়ক মুক্ত বাজারের ব্যবস্থা করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতণ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ফারুক আল মাসুদ বলেন, ” বাজারটি শুরু থেকেই সড়কের উপর চলে আসছে। এটি একদিনে সড়ানো সম্ভব নয়। স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতা নিয়ে বাজারের নামে যে জমি আছে সেখানে স্থানান্তর করে বাজারটি সড়কমুক্ত করা হবে”।