মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জে পরিক্ষা চলাকালীন সময় ছাদ ধরে পড়ে ৬জন ছাত্রী আহত হয়েছে। আহতরা ছাত্রীরা হলো- জেলার তাহিরপুর উপজেলার গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রী আহমদ মোয়াল্লেমা (১৫), নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুমিত্রা রায় (১৪), একই শ্রেণীর ছাত্রী সাকি রায় (১৩), অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী পর্ণা মৈত্র (১২), জেবিন
রাহাত (১৩) ও অনন্যা দে (১৩)। আজ রবিবার (১৮জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় আহত ছাত্রীদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এঘটনার পর ছাত্রী ও তাদের অভিভাবক মহলে চরম আতংক দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট স্কুল এন্ড কলেজ সূত্রে জানা গেছে- সকাল ৯টা থেকে পৃথক ভাবে ৬ষ্ঠ ও ১০ম
শ্রেণীর ছাত্রীদের ক্লাস মূল্যায়ন পরিক্ষা শুরু হয়। এমতাবস্থায় দুপুর সোয়া ১২টার সময় গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত অষ্টম শ্রেণীর কক্ষে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রীদের এক সঙ্গে পরীক্ষা চলাকালীন সময়, ওই ভবনের ছাদের ৩ থেকে ৫ ফুট অংশের প্লাস্টার ধসে পড়ে ছাত্রীদের মাথার ও গায়ের ওপর। এঘটনায় ৬জন ছাত্রী
আহত হলে শুরু হয় হৈচে ও উত্তেজনা। পরে আহতদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আর এঘটনাটি তাৎক্ষনিক ভাবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে পুরো উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে। এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর উপজেলার গালর্স স্কুল এন্ড
কলেজের প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া তালুকদার সাংবাদিকদের জানান- পরীক্ষা চলাকালীন সময় ভবনের ছাদের প্লাস্টার ধসে পড়ে ছাত্রীরা আহত হওয়ার ঘটনাটি দুঃখজনক। এতে ছাত্রী অনেক ভয় পেয়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আবারো পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বোরহান উদ্দিন জানান- স্কুল
এন্ড কলেজ ভবনের ছাদের প্লাস্টার ধসে পড়ে ছাত্রীরা আহত হওয়ার ঘটনাটি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছি। শীগ্রই এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আর আহত ছাত্রীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান রনি বলেন-
ছাদের প্লাস্টার ধসে পড়ে গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রীরা আহত হওয়ার ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজনক। এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।