মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন সরকার জামালপুর জেলার মফস্বল সংবাদদাতা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সততার সাথে কাজ করে চলেছেন। অকুতোভয় এই কলম সৈনিক কখনোই অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি।সম্প্রতি জামালপুর জেলার সেটেলমেন্ট অফিসে কর্মরত সার্ভেয়ার রহুল আমিনের দূর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন
করায় সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। উক্ত সার্ভেয়ার জামালপুর সদর থানাকে ম্যানেজ করার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করে সাংবাদিক মোশাররফ হোসেনের জন্য একটি মাষ্টার প্লান তৈরি করেন যাতে তাঁর আত্মীয় স্বজন জড়িত।জামালপুর সদর থানার নন এফআইআর প্রসিকিউশন নং –
১৫১/২০২৩ইং, তারিখ- ০৪/০৫/২০২৩ ইং, ধারা- ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের, পরবর্তীতে জামালপুরের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিসেট্রট মামুন হাছান খানের আদালতে গত ১২ই জুন হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করলে বিজ্ঞ আদালতে সাংবাদিক মোশারফ উকিলের মাধ্যমে হাজির হন । বিজ্ঞ আইনজীবী ফাইল
প্রসেস করে জমা দিলে পুলিশের কোর্ট সাব ইন্সপেক্টর চান মিয়া বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ভুল করে জামালপুর পাঠিয়েছেন এবং সেই ফাইল ময়মনসিংহের ডিজিটাল নিরাপত্তা আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছেন ।সার্ভেয়ার মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য অনুসন্ধান করায়, জোনাল সেট্লেমেন্ট কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের মৌখিক
নির্দেশে সাংবাদিক মোশারফের বিরুদ্ধে চাকুরী রক্ষার্থে মিথ্যা মামলা রজ্জু করেন। চাঞ্চল্যকর এ সংবাদ জামালপুর সদর আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেনের দৃষ্টিগোচর হলে তাৎক্ষণিক ভাবে ভুমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সার্ভেয়ার রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে বদলী ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য
নির্দেশ দেন।পরবর্তীতে একটি তদন্ত বোর্ড গঠিত হলেও তদন্ত প্রতিবেদনের চূড়ান্ত ফলাফল ফাইলে চাপা পড়ে যায়।সার্ভেয়ার রুহুল আমিন প্রশাসনকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে, তার সিনিয়র অফিসারের আর্শীবাদে অবৈধ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। লাখ লাখ টাকা দিয়ে প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আয়ত্তে এনে অবৈধ উপার্জনে লিপ্ত রয়েছেন।প্রশ্ন
হচ্ছে সার্ভেয়ার রহুল আমিনের খুঁটি জোর কোথায় ? একজন নিরপরাধ সাংবাদিককে শুধু মাত্র নিউজ করার কারণে মামলা দিয়ে হয়রানি করবেন এটা কী মেনে নেয়া যায়। যেখানে এমপি সাহেবের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা করেন না
সিনিয়র অফিসার আরিফুল ইসলাম। তাঁর দায়িত্ব অবহেলার কারণেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ফলাফল ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। সেখানে একজন সাংবাদিকের ফরিয়াদ কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে ? সাংবাদিক সমাজের প্রত্যাশা, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর সহ জামালপুর জেলা প্রশাসক মহোদয় বিষয়টি জনস্বার্থে খতিয়ে দেখবেন।