মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জে নিখোঁজের ২০ঘন্টা পর বস্তা বন্ধি অবস্থায় রাজনা বেগম (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের ইসরাঈল আলীর মেয়ে।
তবে এঘটনার প্রেক্ষিতে কেউ গ্রেফতার হয়নি। গতকাল শনিবার (২২ জুলাই) রাত ১০টায় জেলার দিরাই-মদনপুর সড়কের শরীফপুর তালুকদার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ওই স্কুলছাত্রীর লাশ পাওয়া যায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গত শুক্রবার (২১ জুলাই) রাত ১০টায় বাবা-মায়ের সাথে খাওয়া শেষ করে স্বুলছাত্রী রাজনা বেগম নিজের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু পরদিন শনিবার (২২ জুলাই) সকালে তাকে রুমে দেখতে পাওয়া যায়নি পরিবারের সদস্যরা।
পরে দিনভর এলাকার বিভিন্ন জায়গাসহ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নেওয়া হয়। কিন্তু ওই ছাত্রীর সন্ধান কোথাও পাওয়া যায়নি। পরে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় শান্তিগঞ্জ ও দিরাই উপজেলার মধ্যবর্তী এলাকার শরীফপুর তালুকদার
বাড়ি সংলগ্ন গ্রামের রাস্তার পাশে বস্তা বন্ধি অবস্থায় স্কুলছাত্রী রাজনার লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজ্জাক শান্তিগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ রাত ১০টায় ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। রাজনা বেগম
শান্তিগঞ্জ উপজেলার সুরমা স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। কিন্তু ওই ছাত্রী কিভাবে নিখোঁজ হল এবং তাকে কে হত্যা করে বস্তা বন্ধি করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখেছে তার জানা যায়নি। তবে স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মর্মান্তিক মৃত্যুর
খবর তাৎক্ষনিক ভাবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে এবং এলাকায় ব্যাপক চা লের সৃষ্ঠি হয়েছে। এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরী বলেন- বস্তা বন্ধি অবস্থায় লাশ
পাওয়া খবর পেয়ে দিরাই ও আমার থানার পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এবং সেখান থেকে স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে তদন্ত চলছে।