মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে স্ত্রী‘র অধিকার আদায়ের জন্য গত ৫দিন যাবত অনশন করছে দুই সন্তানের এক জননী। তার নাম- রতœা রহমান (২৫)। সে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার বাসিন্দা।
বর্তমানে ওই নারী উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত মঈনুদ্দিন পীরের ছেলে আতাউর রহমানের বাড়িতে অবস্থান করছে। আজ শনিবার (২৯ জুলাই) সকালে এই খবর জানাজানি হওয়ার পর থেকে এলাকার শতশত উৎসুক নারী-পুরুষ ও শিশুরা ওই নারীকে দেখার জন্য ওই বাড়িতে ভীড় করেছে।
এব্যাপারে ভূক্তভোগী নারী জানান- সোনালী লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানীর কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার শাখা কার্যালয়ে ইউনিট ম্যানেজার আতাউর রহমান (২৮) ও মার্কেটিং অফিসার রতœা রহমান এক সাথে কাজ করতো।
সেই সুবাদে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে। তবে রতœা রহমানের এরআগে এক বার বিয়ে হয়েছে। কিন্তু স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ার কারণে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তবে সাবেক স্বামীর ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে।
তারা তাদের বাবার কাছেই থাকে। আর এসব তথ্য জেনে ও মেনে নিয়ে আতাউর রহমান তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এবং প্রেম চলার ৬মাসের মধ্যেই তারা গোপনে বিয়ে করে।
এরপর তাদের কর্মস্থল সোনালী লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানীর কার্যালয় ভবনের ২য় তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে প্রায় দেড় বছর সংসার করেন। কিন্তু বর্তমান স্বামী আতাউর রহমানের কথা মতো ওই নারী তার পরিবারের কাউকে তাদের বিয়ের
বিষয়টি জানায়নি। এমতাবস্থায় সম্প্রতি আতাউর রহমান রতœা রহমানকে না জানিয়ে তার মায়ের কথা মতো অন্যত্র আরেকটি বিয়ে করার আয়োজন করে। এখবর পেয়ে গত মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে নরসিংদী থেকে তাহিরপুরে অবস্থিত আতাউরের বাড়িতে ছুটে আসে এবং স্ত্রীর অধিকার আদারের জন্য না খেয়ে অনশন শুরু করে।
এব্যাপারে ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা বাবুল মিয়া, সুহেল মিয়া ও পাবেল মিয়াসহ আরো অনেকেই বলেন-মৃত মঈনুদ্দিন পীরের ছেলে আতাউরের বাড়িতে একটি মেয়ে না খেয়ে কয়েকদিন যাবদ অনশন করছে। মেয়েটি আসার খবর পেয়ে বাড়ি ছেড়ে সবাই পালিয়ে যায়। তাই এলাকার লোকজন মানবিক বিবেচনায় মেয়েটাকে খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখছে এবং তার দেখা শুনা করছে।
এব্যাপারে আতাউর রহমান মোবাইলে কল করে বলেন- আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। আমার আয় উন্নতি দেখে কিছু সংখ্যাক লোক হিংসা পরায়ান হয়ে ওই মেয়েটিকে আমার পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে। তার সাথে কোম্পানীর কাজের সুবাধে পরিচয়। কিন্তু মেয়েটি সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। সে আমার নামে যে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে তার জন্য আমি আদালতে মামলা দিয়েছি।
তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি মেম্মার সুফি মিয়া বলেন- মেয়েটি আমার কাছে বলেছে আতাউর রহমান তাকে বিয়ে করেছে। তাকে যদি স্ত্রীর অধিকার না দেয়, তাহলে সে আত্মহত্যা করবে। তাই কোন প্রকার দূর্ঘটনা ঘটার আগে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগী জরুরী প্রয়োজন।