বশির আলম, এসএসসির ফলাফলে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য ধরে রেখেছে,টঙ্গী সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজ, এ বছর সাধারণ শাখায় ৩৭৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৯৭ ভাগ পাসসহ ৯৫ জন জিপিএ ৫
পেয়েছে।ভোকেশনাল শাখায় ৮৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাস সহ জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৬ জন।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে অনলাইনে এসএসসির ফলাফল ঘোষণার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্কুলের অধ্যক্ষ মো. ওয়াদুদুর রহমান , প্রতিষ্ঠানটির ধারাবাহিক সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি
গাউকের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, অভিনন্দন জানিয়েছেন গাজীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
এর আগে ২০১৩ থেকে২০২২ সালে শতভাগ পাসসহ জিপিএ ৫ পেয়ে সেরা ফলাফল অর্জন করেছিল এই প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পাওয়া নুসরাত জাকিয়া জানায়, ‘মহামারি করোনার জন্য আমাদেরকে সবাই অটোপাস
বলে অপবাদ দিত। আশা করছি এইবার আমাদের দেশসেরা ফলাফলে সেই অপবাদ মুছে যাবে। এই ফলাফলের জন্য আমাদের বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, সঠিক দিকনির্দেশনা, নিয়মিত ক্লাস, বিশেষ ক্লাস, গাইড টিচারের মাধ্যমে নিয়মিত হোম ভিজিট, টিউটরিয়াল ও মাসিক পরীক্ষার কারণেই এই ভালো ফল সম্ভব হয়েছে।’
সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান বলেন , আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বরাবরই ভালো ফল করছে। এবার শতভাগ পাসসহ সেরা ফলের ধারাবাহিকতা
অব্যাহত রেখেছে।সারা দেশের সার্বিক ফলাফল বিশ্লেষণ করলে আশা করছি, আমরা সেরা অবস্থানে থাকব। মূলত টঙ্গীতে শিল্পাঞ্চল হওয়ার কারণে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিবারের সন্তানরাই এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে থাকে,
মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের বিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশ অঙ্গীকার নিয়েই পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব নিয়ে পালন করে আসছি। আমি সব সময় চেয়েছি সুশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মানবসম্পদে পরিণত হোক। যাতে আমাদের সমাজে সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত বেকার তৈরি না হয়।
তিনি আরো বলেন, আজকের এই সাফল্য শুধু এই প্রতিষ্ঠানের একার না। এই সাফল্য পুরো গাজীপুরবাসীর । বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমান বলেন, ‘একটি বিদ্যালয়ের ভালো ফলের মূলমন্ত্র হচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক-
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সমন্বয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জনাব অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানের ইনোভেটিভ চিন্তা-চেতনা, সময়োপযোগী সঠিক দিকনির্দেশনায় আমাদের এই ফলাফল অব্যাহত আছে। এ
বছরের শিক্ষার্থীরা যেহেতু করোনা মহামারির সময় পড়াশোনা থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল, তাদের নিয়ে আমাদের শিক্ষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। ভালো ফলাফলের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আগামীতে সঠিক পাঠদান সকলে ঐকান্তিক চেষ্টা সেরা সাফল্য ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।