সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
spot_img
Homeআইন-অপরাধতাহিরপুর সীমান্তে পাচাঁরের সময় নৌকা ডুবে ২ শ্রমিকের মৃত্যু

তাহিরপুর সীমান্তে পাচাঁরের সময় নৌকা ডুবে ২ শ্রমিকের মৃত্যু

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের সময় পৃথক ভাবে নৌকা ডুবে ২ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

মৃতরা হলেন- উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের সাহিদাবাদ গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল হাসিম (৩৫) ও উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের উন্দ্রপুর গ্রামের রামেশ^র বর্মনের ছেলে নিপেন্দ্র বর্মন (৬০)।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- প্রতিদিনের মতো আজ বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ঠ) ভোররাত ৩টা থেকে তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, রন্দুছড়া, চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও, এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা, লালঘাট,

বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা, লালঘাট, টেকেরঘাট সীমান্তের চুনাপাথর খনিপ্রকল্প, বড়ছড়া, বরুঙ্গাছড়া, রজনীলাইন, চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া ও লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, বারেকটিলা, শাহ আরেফিন

মোকাম এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী বায়েজিদ মিয়া, আবু বক্কর, কামাল মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, কালাম মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, নেকবর মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, সুলতান মিয়া, রব মিয়া, সাইকুল মিয়া

ও লেংড়া জামালগং ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা, পাথর, চিনি, কাঠ, সুপারী, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর শুরু করে। এমতাস্থায় ভোর অনুমান ৫টার দিকে লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের সামনে দিয়ে ভারত

সীমান্ত থেকে পাথর নিয়ে আসার সময় বারকি নৌকা ডুবে শ্রমিক আব্দুল হাসিম নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পর অন্যান্য শ্রমিকরা ভারতের ঘোমাঘাট সংলগ্ন স্থানে ওই নিখোঁজ শ্রমিকের মৃতদেহ পায়।

অন্যদিকে বীরেন্দ্রনগর ও চারাগাঁও সীমান্তে মাঝে অবস্থিত লামাকাটা ও জঙ্গলবাড়ি এলাকা দিয়ে চুনাপাথর ও মাটি পাচাঁর করার সময় নৌকা ডুবে নিপেন্দ্র বর্মনের মৃত্যু হয়।

এই সীমান্ত দিয়ে গত ২দিনে প্রায় ৩শ মেঃটন চুনাপাথরসহ বিপুল পরিমান কয়লা ও সুপারীসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে সোর্স রব মিয়া ও সাইকুল মিয়াগং।

এব্যাপারে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের মেম্বার ধন মিয়া, চারাগাঁও শুল্কস্টেশনের কয়লা ব্যবসায়ী মোফাজ্জল, বাবুল মিয়া, জঙ্গলবাড়ি গ্রামের হযরত আলী, কলাগাঁও গ্রামের আনোয়ারসহ আরো অনেকেই বলেন-চোরাকারবারীদের

গডফাদার হাবিব সারোয়ার তোতলা আজাদ তার সোর্স দিয়ে প্রতিদিন পাচাঁরকৃত প্রতি নৌকা কয়লা ও পাথর (২০-৩০ মেঃটন) থেকে সাংবাদিক, পুলিশ ও বিজিবির নামে ৩০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নিচ্ছে।

কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি দিনদিন বেড়েই চলেছে।তাহিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি, দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি কামাল হোসেন রাফি বলেন- সাংবাদিক ও প্রশাসনের নাম ভাংগিয়ে যারা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করছে, তাদের বিরোদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ না নিলে সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়বে।

এব্যাপারে লাউড়গড় ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার রায়হান বলেন- ভোরে যাদুকাটা নদীতে ডুবে একজন পাথর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে সাঁতার জানতো না। শ্রমিকরাই লাশ উদ্ধার করেছে। চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মোতালিব খান বলেন- চোরারা চুরি করে সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করে, আমাদের সামনে দিয়েতো আর করেনা। এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখব।

 

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ