বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পূর্বজাহাঙ্গীরাবাদ পানাতেপাড়া গ্রামে মাদক ব্যবসায় সহায়তা না করায় অসহায় কৃষক পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে ৩ নারী সহ ৫জনকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় থানা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এঘটনায় রোস্তম আলী বাদী হয়ে একই গ্রামের ঠান্ডা, আনারুল, নাছিমার, দুলু মিয়া, শাহজাহান ইসলাম, আমজাদ হোসেন, লেমন প্রাং, আনিছার রহমান, আব্দুল মান্নান, লাকি বেগম, এমেনা বেগম, ইয়াছিন আলী, নাইম, সোহান, শাকিলসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঐ গ্রামের বুলু মিয়ার ছেলে ঠান্ডা মিয়া, শাহজাহান আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম তার বোন নাছিমা বেগম দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামবাসী মুখ খুলতে ও প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পুলিশের ঝামেলা এড়াতে তাদের ব্যবসার কৌশল পরিবর্তন করে ঐ গ্রামের মগলু মিয়ার বাড়িতে জোরপূর্বক বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল রাখার জন্য অবৈধ ভাবে চাপ দিলে মগলু ও তার পরিবারের লোকজন বাঁধা দেয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৮ এপ্রিল রবিবার বিকালে দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মুগলুর বাড়িতে হামলা চালায় এতে মগলু মিয়া, হোসেন আলী, শাহেনা বেগম, দুলালী বেগম ও শারমিন গুরুত্বর আহত হয়।
এবিষয়ে কথা হয় বাদী রোস্তমের সাথে। সে জানায় ‘মগলু মিয়া ও হোসেন আলীর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শজিমেকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে মগলু মিয়া ও হোসেন আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। তারা এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রয়েছে।
প্রতিপক্ষদেরকে মাদক ব্যবসায় সহায়তা না করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালিয়েছে’।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানা ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে, মাদক ব্যবসায়ীরা যেই হোক তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না, মামলার আসামীদেরকে আটক করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।