সুনামগঞ্জে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইজারা বহির্ভূত স্থান ও নদীর তীর কেটে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন লাখলাখ টাকার বালি বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালি খেকোদের বিরুদ্ধে জোড়ালো কোন পদক্ষেপ না
নেওয়ার কারণে অবৈধ বালি বিক্রি বাণিজ্য দিনদিন বেড়েই চলেছে। ফলে একদিকে শতশত বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে অবৈধ ভাবে বালি বিক্রি করে অনেকেই কোটিপতি হয়েগেছে বলে খবর পাওয়াগেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল শনিবার (২৩ সেপ্টেম্ভর) বিকেলে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের বালিছড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে সীমান্তের চিলাই নদীর ২ হাজার ঘনফুট অবৈধ বালি জব্দ
করাসহ ওই গ্রামের কতিপয় বালি ব্যবসায়ী আব্দুল মন্নানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
দোয়ারাবাজার উপজেলা সীমান্তের চিলাই নদীর তীর কেটে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ ভাবে বালি বিক্রি করছিল একটি মহল। অন্যদিকে জেলার তাহিরপুর সীমান্তের যাদুকাটা ও মাহারাম নদীর তীর কেটে অবৈধভাবে প্রতিদিন লাখলাখ টাকার বালি
বিক্রি করছে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের মৃত বদ মিয়ার ছেলে হাবিব সারোয়ার তোতলা আজাদ ও তার বাহিনী। সেই সাথে তারা সাংবাদিক ও পুলিশের নাম ভাংগিয়ে করছে চাঁদা উত্তোলন।
সীমান্ত চোরাচালান, অবৈধ ভাবে বালি বিক্রি ও চাঁদাবাজি করে তোতলা আজাদ ইতিমধ্যে হয়েগেছে কোটিপতি।
এরপরও তার বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে এই বাহিনীর অন্যায় কর্মকান্ড দিনদিন শুধু বেড়েই চলেছে। অবৈধ বালি বিক্রির সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক সংবাদ পত্রিকার তাহিরপুর প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি কামাল হোসেন রাফিকে গাছে বেঁচে নির্যাতন করেছিল আজাদ বাহিনী।
এই ঘটনা সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে। তাই অবৈধ বালি খেকোদের বিরুদ্ধে শীগ্রই আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা চায় ঘাগটিয়া, মাহারাম ও আদর্শগ্রামসহ আরো একাধিক এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ্য বাসিন্দারা।
এব্যাপারে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন- অবৈধ বালি খেকোদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরও কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়না। ফলে নদী ভাংগনের কবলে পড়ে শতশত পরিবার ক্ষতি হয়েছে এবং হচ্ছে। তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- আমি এই থানায় নতুন এসেছি, এব্যাপারে খোঁজ
দোয়ারাবাজার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জফলে রব্বানি চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান- দোয়ারা উপজেলায় অবৈধ বালি উত্তোলনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।