সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের চারাগাঁও সীমান্তে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবাধে কয়লা পাচাঁরের পর একাধিক মামলার আসামীরা সাংবাদিক, পুলিশ ও বিজিবির নাম
ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করছে জানা গেছে। তাই সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করাসহ চিহ্নিত চোরাকারবারীদেরকে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বৈধ কয়লা ব্যবসায়ীরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্ভর) ভোর ৫টায় চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে পাচাঁরকৃত প্রায় ২শ
মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে ১৪টি ট্রলি বোঝাই করে শুল্কস্টেশনের বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে মজুত করেছে চোরাকারবারী শামসুল ও শরাফত আলীগং। অন্যদিকে এই সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি ও
কলাগাঁও এলাকা দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রায় ৩শ মেঃটন কয়লা অর্ধশতাধিক ট্রলি বোঝাই করে শুল্কস্টেশনের একাধিক ডিপুতে নিয়ে মজুত করেছে একাধিক মামলার আসামী আইনাল মিয়া,
রিপন মিয়া ও রফ মিয়াগং। এরআগে গতকাল বুধবার (২৭ ডিসেম্ভর) ভোরে কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে পাচাঁরকৃত ৫শ মেঃটন অবৈধ কয়লা পাচাঁর করে শতাধিক ট্রলি বোঝাই করে ডিপুতে নিয়ে মজুত করেছে সোর্সরা।
এব্যাপারে চারাগাঁও সীমান্তের দায়িত্বে থাকা বাঙ্গালভিটা বিজিবি ক্যাম্পের গোয়েন্দা সংস্থা বিএসবি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন- রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা
পাচাঁরের খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি ক্যাম্পে ফোন করে অবগত করেছি। কিন্তু তারা সঠিক ভাবে কাজ করেনা। এব্যাপারে আমার উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানাব। আমি আমার দায়িত্বে সঠিক ভাবে পালনের চেষ্টা করছি।
চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) নাম্বারে কল করলে কমান্ডার মোতালিব খান বলেন- কয়লা পাচাঁরের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে কিছু আটক করেছি কিন্তু আপনাকে তা বলব কেন। আমি তো আপনার চাকরি করিনা।
তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- গত ২দিন যাবত অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করা হচ্ছে আমি তা জানতাম না। তাছড়া আমাদের থানার কোন সোর্স নাই। যারা অবৈধ কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।