শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
spot_img
Homeআইন-অপরাধতাহিরপুর সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় যুবককে গণধৌলাই: প্রশাসন নিরব

তাহিরপুর সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় যুবককে গণধৌলাই: প্রশাসন নিরব

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তে প্রতিদিন সরকারের কোটিকোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা ও চুনাপাথরসহ চিনি,

সুপারী, গরু, ছাগল, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, নাসির উদ্দিন বিড়ি, মোটর সাইকেল ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানায়- গতকাল শুক্রবার (২৯ ডিসেম্ভর) সন্ধ্যায় তোতলা বাহিনীর সদস্য একাধিক মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, শামসুল মিয়া, শরাফত

আলী ও আনোয়ার হোসেন বাবলুগং পৃথক ভাবে জঙ্গলবাড়ি, লামাকাটা, কলাগাঁও, এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের কয়লা পাচাঁর করে বিভিন্ন

বাড়িঘরের ভিতরে লুকিয়ে রাখে। এমতাবস্থায় তোতলা বাহিনীর সদস্য আইনাল মিয়া ভাতিজা জাকির মিয়াসহ ৩-৪জন মিলে কলাগাঁও ছড়া দিয়ে ভারত সীমান্তে অবস্থিত গারো বস্তিতে গিয়ে

নারীদের ওপর হামলা করে। তখন গারোরা ওই যুবকদের ধাওয়া করে এবং জাকির মিয়াকে ধরে গণপিটুনী দেয়। এখবর জানা জানি হওয়ার পর বিজিবির সহযোগীতায় স্থানীরা আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়। আর অন্য যুবকরা সুকৌশলে পালিয়ে যায়।

তবে চারাগাঁও ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত তোতলা বাহিনীর সদস্য রফ মিয়া ও তার সহযোগীদের একাধিক ডিপুসহ জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও, লামাকাটা, লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করলে কমপক্ষে ৫কোটি টাকার অবৈধ কয়লা উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে শুল্কস্টেশনের একাধিক ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে- গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্ভর) ভোর ৫টায় এই সীমান্তের লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকা দিয়ে প্রায় ২শ মেঃটন ও গত বুধবার (২৭

ডিসেম্ভর) ভোরে কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে প্রায় ৮শ মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে তোতলা বাহিনীর সদস্য একাধিক মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, শামসুল মিয়া ও শরাফত আলীগং।

পরে পাচাঁরকৃত ১ ট্রলি (৫ মেঃটন) অবৈধ কয়লা থেকে পুলিশ, বিজিবি ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ৭ হাজার টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করে সোর্সরা।

কিন্তু এসব বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোড়ালো কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে অসহায় হয়ে পড়েছে এই সীমান্তের ৩ শুল্কস্টেশনের বৈধ ব্যবসায়ীরা।

তাই সংশ্লিস্ট প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বৈধ ব্যবসায়ীরা। এব্যাপারে জানতে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) নাম্বারে কল করলে কমান্ডার মোতালিব খান বলেন- আমি কি করব না

কবর সেটা আমার ব্যাপার, আপনাকে তা বলতে বাধ্য না আমি আপনার চাকরি করিনা। তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- আমাদের থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে পাচাঁরকৃত মালামাল বন্ধ করার দায়িত্ব বিজিবির। তারা যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে অবৈধ কাজকর্ম যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা পদক্ষেপ নেব।

 

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ