মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নোয়াখালী প্রতিনিধি, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার সড়ক বিভাজন (রোড ডিভাইডারের) মধ্যবর্তী পরিত্যাক্ত জায়গায় সবজী চাষ করে স্বাভলম্বী
হচ্ছে বহু নিরিহ কৃষক। সড়ক ও জনপথ বিভাগ নোয়াখালীর চৌমুহনী থেকে ফেনী পর্যন্ত সড়কটি ফোরলেনে উন্নিত করে। এরপর সড়কটি মধ্যবর্তী স্থানে বিভাজন বা ডিভাইডার নির্মান করে দুই লেন করে চার লেনে বিভাজন করে সুন্দর্য্য বর্ধণের জন্য লেনের মাঝখানে মাটি ভরাট করে দেওয়া হয়।
এরপর সড়কের পাশ্ববর্তী বাড়ির কৃষকরা সেনবাগ উপজেলার পপুলার বিস্কুট ফ্যাক্টরী থেকে সেবারহাট বাজার পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়কে বিভিন্ন রকমের সবজী লাল শাক, মুলার শাক, পালং শাক, ধনিয়া, সরিষা,
টমেটো, মরিচ, কফি কোমড়া চাষ করে। তার পেরিয়ে সকাল হলে বিভিন্ন শাক সবজীর বাহারী ফুল ও ফলের রঙ্গে এক দারুণ দৃশ্যের সৃষ্ঠি হয়। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করা যানবাহনের যাত্রীদের দৃষ্টি থাকে ওই ডিভাইডারের ফুল,ফল অপরুপ দৃশ্যের দিকে।
উপজেলা ফতেহপুর গ্রামের খুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষক মোঃ নুরুল হুদা ছোটন জানান, তিনি ওই ডিভাইডারে সবজী চাষ করে নিজের চাহিদা পূরণ করে আত্বীয় স্বজনদেরকে দেন তিনি। এতে তার সবজী কিনতে হয় না।
মোহাম্মদপুর গ্রামের সিএনজি চালক মোহ্ম্মাদ ইউসুফ জানান,তিনি বিভিন্ন জাতের সবজী চাষ করে নিজের চাহিদা পূরন করে আত্বীয় স্বজনদেরকেও দেন। এবং তিনি অন্যদেরকেও চাষাবাদ করার জন্য নিজের দখল করা জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন চাষ করার জন্য।
কল্যান্দী বাজারের কৃষক ও সিএনজি চালিত অটোচালক রাজুও চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছে বলে জানান।
সেনবাগ উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম জানান,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যেন এক ইি জমিনও যেন অনাবাধি না থাকে। প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশে তারা কৃষকদের উদ্ববৃদ্ধ করতে পেরেছেন।
তাই সড়কের প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়কের পরিত্যাক্ত ডিভাইডোরে পাশ্ববর্তী বাড়ির কৃষক, সিএনজি চালক সহ বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার প্রায় শতাধিক ব্যাক্তি বিভিন্ন প্রজাতির সবজী চাষ করে নিজেরা স্বাভলম্বী হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে তাদেরকে পরার্মশ সহ সকল সহযোগীতা কলা হচ্ছে।