বশিরআলম,সাধারণত একজন ব্যক্তির অনুমতি ব্যতিরেকে তার সঙ্গে যৌনসঙ্গম বা অন্য কোনো ধরনের যৌন অনুপ্রবেশ ঘটানোকে ধর্ষণ বলা হয়। ধর্ষণ শারীরিক বলপ্রয়োগ, অন্যভাবে চাপ প্রদান কিংবা কর্তৃত্বের অপব্যবহারের মাধ্যমে সংঘটিত হতে পারে।
একটি সন্তানের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল তার মা-বাবা আর সেই নিরাপদ আশ্রয়স্থলটি যখন হয়ে ওঠে ভয়ংকর অন্ধকারপৃষ্ট তখন সেই শিশুটি বেঁচে থেকেও জীবন্ত একটি লাশ এমনই একটি নেক্কারজনক ঘটনার
স্বীকার ছদ্মনাম মিম, মিম তার জন্মের পর কিছুদিন অতিবাহিত হতে তার বাবার সাথে মায়ের ডিভোর্স হয়ে যায়, মিম তার বাবার সাথেই বেড়ে উঠতে থাকেন, বাবার আদর আর স্নেহ ভালোবাসা পেয়ে বেড়ে উঠছিলেন , হঠাৎ
একদিন তার মা তার সাথে দেখা করতে যায় গ্রামের বাড়িতে, সেখান থেকে ছোট্ট অবুঝ মেয়েটিকে তার মা লুকিয়ে নিয়ে আসে , গাজীপুরে টঙ্গীতে এখানে মিমের মা আরেকটি বিয়ে করে সংসার করছে তাদের সংসারে
বড় হতে থাকে মিম, কিছুদিন যেতেই,যৌন লালসার শিকারে পড়েন অসহায় শিশুটি, বিভিন্ন সময় সৎ বাবা তাকে নানা কায়দায় যৌনিপীড়ন করতে থাকে, এক পর্যায়ে বিষয়টি সে তার মাকে জানালে মা তার বাবার সাথে
এ বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তার মাকে তালাকের হুমকি দেওয়া হয়, তখন থেকে নিয়মিত তার মা তাকে বাসায় একা রেখে কর্মস্থলে গিয়ে কাজ করতো। সুযোগ পেয়ে লম্পট বিভিন্ন সময় অসহায় মেয়েটির উপর বিকৃত যৌনাচার করতো, এই ঘটনায় প্রায় সময় মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়তো।
ভাগ্য নির্মম পরিহাস কিছুই করার ছিল না মেয়েটির। শুধু আর্তনাদ করেই চলছিল তার জীবন। গত কিছুদিন পূর্বে এলাকায় পারিবারিকভাবে একটি পরিবারের সাথে মেয়েটির বিয়ে হয়। বিয়ে পরবর্তী সময় লম্পট সুযোগ
বুঝে আবারো সেই লালসার শিকার হন।এবার আর মেয়েটি নিরুপায় নয়, তার একটি অভিভাবক পেয়েছেন সে তার শাশুড়ি ও স্বামীকে সবকিছু খুলে বলেন। সে তার শাশুড়ি ও স্বামীকে সাথে নিয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি
লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ লম্পটকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন। গ্রেফতারকৃত লম্পট নারায়ণগঞ্জ জেলার চাষাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে তারেক
হাবিব। এ বিষয়ে মেয়েটির মায়ের সাথে কথা বলতে তাদের বর্তমান বসবাস ঠিকানায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী মেয়েটির একটাই দাবি এমন একটি ন্যায় বিচার
যেন হয়, তাঁর মতো যেন কোন মেয়েকে এমন ঘটনার শিকার না হতে হয়। এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী নাদিম হোসেন খান বলেন, সমাজে এরকম অনেক আনাচে-কানাচে ঘটনা ঘটছে যা সামনে আসে না। আইনের
দৌড়গোড়ায় অনেকেই পৌছাতে পারে না, আপনার সাথে কোন অন্যায় ঘটে গেলে অবশ্যই গোপন না রেখে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে যাবেন তাহলে আর অপরাধ বৃদ্ধি পাবে না।
মামলার ঘটনা নিশ্চিত করে টঙ্গী পশ্চিম থানা ওসি সাখওয়াত হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আপনার সাথে যে কোন অন্যায় ঘটলে দ্রুত পুলিশকে অবহিত করুন ।