বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
spot_img
Homeপ্রধান সংবাদতাহিরপুরে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বৃদ্ধি নৌকাসহ ৫ জন গ্রেফতার

তাহিরপুরে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বৃদ্ধি নৌকাসহ ৫ জন গ্রেফতার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে দিনদিন বেড়েই চলেছে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বাণিজ্য। সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারীরা প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও

চুনাপাথরসহ বল্ডার পাথর, গরু, ঘোড়া, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, নাসির উদ্দিন বিড়ি, পেয়াজ ও চিনিসহ আরো বিভিন্ন প্রকার মালামাল ওপেন পাচাঁর করছে। পরে পাঁচারকৃত অবৈধ মালামাল থেকে পুলিশ, বিজিবি ও

সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামীরা উত্তোলন করছে লাখলাখ টাকা চাঁদা। সোর্সদের নেতৃত্বে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে, নদীতে ডুবে ও গর্তে পড়ে এপর্যন্ত কয়েক হাজার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

কিন্তু আজ পর্যন্ত সোর্সদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ। তবে-পুলিশ সীমান্তের পাটলাই নদীতে অভিযান চালিয়ে ইঞ্জিনের নৌকাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে-

প্রতিদিনের মতো আজ রবিবার (৩০ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের এলসি পয়েন্টের পাহাড়ি ছড়া দিয়ে চোরাকারবারী কাঞ্চন মিয়া, সোহেল মিয়া, দীপক মিয়া, আনোয়ার হোসেন

বাবলুগং প্রায় ১২০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে একাধিক ডিপু ও তাদের বসতবাড়িতে মজুত করে। তার আগে ভোর ৫টায় উপজেলার বীরেন্দ্রনগর ও চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন, জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও, বাঁশতলা

ও লালঘাট এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের সোর্স রফ মিয়া, আইনাল মিয়া, লেংড়া জামাল, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, বাবুল মিয়া, রুবেল মিয়া ও হারুন মিয়াগং প্রায়৩৫০মেঃটন পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা ১২টি

স্টিলবডি ইঞ্জিনের নৌকা দিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়াও কলাগাঁও নদী থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে বালি ও পাথর
বিক্রি করছে একাধিক মামলার আসামী সোর্স রফ মিয়া ও আইনাল মিয়া। এদিকে গত শুক্রবার (২৮জুন)

বিকেলে সীমান্তের পাটলাই নদীর সোলেমানপুর নামকস্থানে পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামাল বোঝাই নৌকা থেকে চাঁদা উত্তোলনের সময় নৌ-পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী ফজলুল হক (৫২), হাবিবুর

রহমান (৪৮), কহিনুর মিয়া (৩৮), কামরুল মিয়া (৩৫) ও এমরান মিয়া (৩২) কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার

সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, রতন মহলদার, কামরুল মিয়াগং প্রায় ২শ মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে সীমান্তের বসতবাড়ি, নিলাদ্রী লেকপাড় ও দুধেরআউটা গ্রামে নিয়ে মজুত

করাসহ টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স আক্কল আলী, রুবেল মিয়া ও কামাল মিয়াগং প্রায় ৩হাজার মেঃটন চুনাপাথর ও ১হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের

আশেপাশে অবস্থিত বিভিন্ন ডিপুতে মজুত করলেও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এছাড়াও পাশের চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া ও বারেকটিলা এলাকা দিয়ে সোর্স জামাল মিয়া, নজরুল মিয়া,

রুসমত আলী, জম্মত আলী, সাহিবুর মিয়া, বুটকুন মিয়া ও লাউড়গড় সীমান্তের জাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর ও পুরান লাউড়গড় এলাকা দিয়ে সোর্স বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, নুরু মিয়া, নবীকুল, জজ মিয়াগং

প্রতিদিন ভারত থেকে ওপেন পাচাঁর করছে গরু, ঘোড়া, কয়লা, পাথর, নাসির উদ্দিন বিড়ি, মদ, গাঁজা, ইয়াবা,
চিনি ও পেয়াজসহ বিভিন্ন মালামাল। কিন্তু তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য নেওয়া হয়না কোন পদক্ষেপ।

এব্যাপারে টেকেরঘাট কোম্পানীর বিজিবির কমান্ডার দীলিপ বলেন- আমার এলাকা দিয়ে চোরাচালানের কোন খবর আমি পাইনা, পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার শফিকুল বলেন- আমাদের

পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কোন মালামাল পাচাঁরের অনুমতি নাই। তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদিন বলেন- থানা পুলিশের কোন সোর্স নাই। সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। তবে

নৌ-পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৫জনকে আটক করেছে জানতে পেরেছি। সুনামগঞ্জের টুকেরবাজার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন- সীমান্তের জাদুকাটা ও পাটলাই নদীসহ বিভিন্ন স্থানে মালামাল

পরিবহনকারী নৌকায় চাঁদাবাজি হয় জানতে পেরেছি। আমরা অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে নৌকাসহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছি। মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ