বশির আলম, টঙ্গীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাত্রদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেন টঙ্গী এরশাদ নগর এলাকার ৪৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) বিকেলে বিএনপি নেতা
সাবেক টঙ্গী ছাত্র দলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম কামুুর নেতৃত্বে এলাকাবাসীদের নিয়ে প্রতিবাদ সভা করা হয়। প্রতিবাদ সভায় কামরুল ইসলাম কামু বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজেদের ন্যায্য
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারাদশে ছাত্ররা রাস্তায় নামে। এ সময় টঙ্গীর তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার কোমল নিস্পাপ ছাত্রদের আন্দোলন প্রতিহত করতে নরপিচাশ আওয়ামী লীগের দালাল অস্ত্র ব্যবসায়ী মাদক ব্যবসায়ের সম্রাট
জলিল গাজীসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রদের উপর আক্রমণ চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহতসহ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ জলিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়ে এলাকায়
মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। সে এবং তার সহযোগিতাদের অত্যাচারে জনগণ চরম ভোগান্তির মধ্যে জীবনযাপন করেছে। বিএনপি নেতাদের এবং সাধারণ মানুষের বাড়িঘর, ব্যবসা
বানিজ্য দখলসহ বিভিন্ন রকম অপকর্মে চালিয়েছে। আমার নামে ১০/১২ টা রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দিয়েছে। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ আমি বাড়ি ছাড়া ছিলাম। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের আত্বত্যাগের বিনিময়ে
আমরা আজ স্বাধীনতা পেয়েছি। আমরা এ নৈরাজ্যের বিচার চাই। তিনি আরো বলেন জলিল গাজী একসময় চোর ও ভ্যান চালক ছিলেন,তিনি বর্তমানে শত কোটি টাকার মালিক, আয়ের উৎস কি? সন্ত্রাসী খুনি জলিলের
বিচার চাই। এ সময় সভায় উপস্থিত এলাকাবাসী বলেন, আমরা ৪৯ নং ওয়ার্ড বাসি ছাত্র হত্যার বিচার চাই। সেই সাথে সারাদেশে ছাত্রজনতার হত্যার দায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনাকে নিতে হবে। বৈষম্য
বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিহত ছাত্রজনতা হত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের কাঠগড়ায় ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে।