বশিরআলম,কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুতে গত ২০ জুলাই গাজীপুরা সাতাইশ রোডের ঢাকা ময়মনসিং মহাসড়কের সংযোগ সড়কে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়, এ
সুযোগে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী বাহিনী দাড়ালো অস্ত্র ও আগ্নেঅস্ত্র নিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর আক্রমণ করে। এতে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে চোখ হারাতে বসেছেন অসহায় খেটে খাওয়া বেকারি শ্রমিক মোঃ
আরিফুল ইসলাম শাহীন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার কাইতলা গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে। নিজের জীবন বাজি রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষের মধ্য থেকে একটি শিশু বাচ্চাকে
বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের ছোড়া রাবার বুলেট এসে সরাসরি আঘাত হানে আরিফুল ইসলাম শাহিনের ডান চোখে। এ সময় আন্দোলনে থাকা কিছু লোকজন তাকে স্থানীয় গুটিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান কিন্তু সেখানে কর্তৃপক্ষ
তাকে চিকিৎসা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে পরিবারের সদস্যরা সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করে বাসায় নিয়ে আসে। টাকার অভাবে হাসপাতালে আর যেতে না পারায়
এখন সে বাড়িতেই অবস্থান করছে। ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, ডাক্তার বলেছেন ভালো চিকিৎসা করলে আরিফ চোখ ফিরে পেতে পারেন, তবে সেজন্য দরকার প্রচুর পরিমাণ অর্থ যা কিনা আরিফ এর পরিবার দ্বারা
যোগার করা সম্ভব নয়। ভালো মানের চিকিৎসা না করলে চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে আরিফের চোখের আলো। আরিফ বৃদ্ধ মা এবং একমাত্র বোন কে নিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় একটি ভাড়া বাসায়
বসবাস করেন। দারিদ্র্য পরিবারটির একমাত্র উপার্জনকারী আরিফ অসুস্থ হয়ে পড়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন ভুক্তভোগী পরিবার। সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জীবন ফিরে পেতে সমাজের বৃত্তবান যারা রয়েছেন তাদের সহযোগিতা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ।