,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের বহুল আলোচিত তাহিরপুর সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্য জমজমাট হয়ে উঠেছে। সীমান্ত গডফাদার ও তার সোর্সরা প্রতিদিন কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি ভারত থেকে অবাধে বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করছে। কিন্তু এব্যাপারে কখনোই জোড়ালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়না। এর ফলে
গডফাদার ও তার সোর্সরা হচ্ছে কোটিকোটি টাকার মালিক,অন্যদিকে সীমান্তে বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্ভর) ভোর থেকে জেলার তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি ও কলাগাঁও এলাকা দিয়ে একাধিক চোরাচালান মামলার আসামী রফ
মিয়া, আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, দীপক মিয়া ও এই সীমান্তে এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও
লালঘাট এলাকা দিয়ে একাধিক চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সাইকুল মিয়া, শফিকুল ইসলাম ভৈরব, রুবেল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, শহিদুল্লাহ, ফারুক মিয়া, খোকন মিয়া, আমীর
আলী, জামীর আলী,শারাফত আলী ও তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ পৃথক ভাবে ভারত থেকে অবৈধ
ভাবে অবাধে কয়লা, চিনি, পেয়াজ, সুপারী, মাদকদ্রব্য ও নদী থেকে বালি পাঁচার শুরু করে। এমতাবস্থায় সকাল ৯টায় কলাগাঁও এলাকার ভারতের অংশে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে আবুল
মিয়া (২৬) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ওই সময় গুহার ভিতর আটকে পড়ে আরো ২০-৩০জন শ্রমিক। এই খবর পেয়ে অন্যান্য শ্রমিকরা প্রায় ২ ঘন্টা মাটি খুড়ে তাদেরকে উদ্ধার করে এবং মৃত যুবকের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। মৃত যুবক কলাগাঁও পশ্চিম পাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আলকাছ মিয়ার
ছেলে। এই সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে সোর্স রফ মিয়া ৩কোটি, আইনাল মিয়া ২কোটি, বাবুল
মিয়া ১কোটি ও তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ প্রায় ২০কোটি টাকার মালিক হয়েছে। কিন্তু তাদের অবৈধ অর্থ-সম্পদ উদ্ধারের জন্য নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ। তাই ওরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এব্যাপারে জানতে সীমান্তের চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল নাম্বারে (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) বারবার কল করার পরও কেউ ফোন রিসিভ করেনি। এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি মাইনুদ্দিন বলেন- চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।