মহামারির করোনার থাবায় বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ও প্রাণহানি অব্যাহত রয়েছে। ভয়াবহভাবে বেড়েই চলেছে ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ১২ হাজারের বেশি মানুষ।
এতে মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর মোট সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩২ লাখ। এছাড়া ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫
কোটি ২৭ লাখের ঘর। ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেড়েছে সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা। রোববার (২ মে) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ হাজার ৫৫১ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩২ লাখ ৬ হাজার ৪৯ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৭ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ২৭ লাখ ৯২ হাজার ৪১২ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৯০ হাজার ৭০৪ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৪৭ লাখ ২৫ হাজার ৯৭৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬৫ জনের। অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ।
দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫৬ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৫২৩ জন।এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৬ লাখ ৪২ হাজার ৩৫৯ জন, রাশিয়ায় ৪৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৮ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৪
লাখ ১৮ হাজার ৫৩০ জন, ইতালি ৪০ লাখ ৩৫ হাজার ৬১৭ জন, তুরস্কে ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৪০৮ জন, স্পেনে ৩৫ লাখ ২৪ হাজার ৭৭ জন, জার্মানিতে ৩৪ লাখ ১২ হাজার ৩৭৩ জন এবং মেক্সিকোতে ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ৪ হাজার ৭০৬ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ১০ হাজার ৫২০ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৭ হাজার ৫২৪ জন, ইতালিতে এক লাখ ২১ হাজার ৩৩ জন, তুরস্কে ৪০ হাজার ৫০৪ জন, স্পেনে ৭৮ হাজার ২১৬ জন, জার্মানিতে ৮৩ হাজার ৭০২ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ১৭ হাজার ১৬৮ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।
এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। বিশ্ব এখন করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে। / ঢাপো