সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী যাদুকাটায় অভিযান চালিয়ে ৫৫ হাজার ঘনফুট পাথর ও ৪০ হাজার ঘনফুট বালি জব্দ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার (১লা মে) রাত ৯টায় উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে জব্দকৃত বালি ও পাথর ৯০ লক্ষ টাকা বিক্রি করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে অবস্থিত ঘাগটিয়া, মানিগাঁও, বিন্নাকুলি ও মাহারাম এলাকায় অবস্থিত যাদুকাটা নদীর তীর কেটে ও গভীর কোয়ারী তৈরি করে অবৈধভাবে বালি ও পাথর উত্তোলন করে বিক্রি করে এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালীরা হয়েগেছে কোটিপাতি।
এছাড়া সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের সামনে দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন অবাধে লক্ষলক্ষ টাকার পাথর ও কয়লা পাচাঁর করছে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী আমিনুল মিয়া, জসিম মিয়া, এরশাদ মিয়া, নুরু মিয়া, নবীকুল মিয়া গং।
গতকাল শনিবার (১লা মে) বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে যাদুকাটা নদীর ঘাগটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে মজুত করে রাখা ৫৫ হাজার ঘনফুট পাথর ও ৪০ হাজার ঘনফুট বালি জব্দ করা হয়।
কিন্তু লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের সামনে ও তার আশেপাশে অভিযান হয়নি। সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হলে সোর্সেদের মজুত করে রাখা লক্ষলক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ পাথর ও কয়লা উদ্ধার হবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহের নেতৃত্বে টাস্কফোর্সের অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাসেল নোমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মাঈদুল ইসলাম, তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদারসহ র্যাব ৯ এর সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা।