বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করোনামুক্ত হয়েছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ২৭ দিন পর তিনি করোনা ‘নেগেটিভ’ হলেন। খালেদা জিয়া গত ১১ এপ্রিল পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন।
এই দিন রাতেই পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর ১৪ পর পর গত ২৫ এপ্রিল আবারও নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু তখনো তিনি করোনা পজিটিভই ছিলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের একজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক আজ রাত সোয়া একটার দিকে খালেদা জিয়ার করোনা নেগেটিভ হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এর আগে দুই বার ও আজ নিয়ে মোট তিন বার খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।গত ২৫ এপ্রিলের পরীক্ষায় খালেদা জিয়া করোনা পজিটিভ হলেও তাঁর শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ ছিল না। এ কারণে তাঁকে করোনা মুক্ত ধরে নিয়েই চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের একজন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এর আগে তিনি বলেন, করোনা চিকিৎসার আন্তর্জাতিক গাইড লাইন অনুযায়ী করোনা শনাক্তের দুই সপ্তাহ পরে রোগীর শরীরে
যদি কোনো উপসর্গ না থাকে তা ধরে নেওয়া হয় ওই ব্যক্তির দ্বারা কেউ করোনা সংক্রমিত হতে পারে না। এ কারণেই রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ‘নন কোভিড’ রোগী হিসেবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড বলছে, বিএনপির চেয়ারপারসন এখন করোনা-পরবর্তী জটিলতায় ভুগছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আজ জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে চান তাঁর পরিবার। এ জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে।
বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ সনদ থাকা বাধ্যতামূলক। যদি শেষ পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশ নিতে হয় তাহলে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা নেগেটিভ হওয়াটা জরুরি ছিল। এ কারণে আবার পরীক্ষা করা হয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন কি না তা রোববার দিনের যেকোনো সময় জানা যাবে। অনুমতি পেলে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে পরবর্তী কাজ শেষ করবে মেডিকেল বোর্ড।