সুনামগঞ্জে হোটেল ব্যবসায়ী নুর আলমকে তার দোকান থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করার অভিযোগে এক নারীসহ ৬জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের জিরারগাঁও গ্রামের গুলফর আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (২১), জহিরুল ইসলাম (২৭), একই গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে সুজন মিয়া (৪০), তার স্ত্রী
রুবিনা বেগম (২৫), মমশর আলীর ছেলে উমর গনি (২৫) ও ওসমান গনি (৩০)।
আজ রবিবার (৬ জুন) দুপুরে সুনামগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক সেলিম নেওয়াজ সাংবাদিকদের জানান-
গ্রেফতারকৃত ৬জনের মধ্যে আসামী কামরুল ইসলাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল আহমেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাকে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে।
মৃত হোটেল ব্যবসায়ী নুর আলম (১৮) সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের দর্প গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার পশ্চিম বাংলাবাজারে তার একটি হোটেল রয়েছে। ব্যবসার সুবাদে দোকানেই থাকতো নুর আলম।
গত বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাত এক যুবক তাকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার সকালে পাশর্^বর্তী জিরারগাঁও গ্রামের হাওরের হোটেল ব্যবসায়ী নুর আলমের লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি মোঃ নাজির আলম বলেন- গত শনিবার (৫ জুন) দুপুরে মৃত হোটেল ব্যবসায়ী নুর আলমের বড়ভাই আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে সকালে সিলেট শহরের কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়।