শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বনগাঁও জিগাতলা আঃ রেজ্জাকের বাড়ীর সম্মুখ হইতে বনগাঁও জিগাতলা প্রাইমারী স্কুল ও দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত ২৫০ ফিট সিসি ঢালাই রাস্তাটি নির্মাণের এক দের মাসের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়মের কারণেই রাস্তাটি ভেঙে গেছে। অনিয়মের তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে পুনরায় রাস্তাটি নির্মাণ করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি-৩) এর আওতায় গৌরীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আঃ রেজ্জাকের বাড়ী হইতে জিগাতলা প্রাইমারী স্কুল ও দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত ২৫০ ফিট সিসি ঢালাই রাস্তাটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয়। গৌরীপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নাছিমা বেগম ওই রাস্তার কাজের প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে এ কাজ সম্পন্ন করেন। কাজ শেষে নাছিমাকে যথাসময়ে বিল প্রদান করা হয়।
রাস্তাটির ওপর দিয়ে জনগণ চলাচল শুরু করার এক দের মাসের মধ্যেই ভাঙতে শুরু করেছে। এ রাস্তা নির্মাণের পর থেকে এলাকাবাসীরা নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ তোলেন প্রায় ১ হাত পর পর দের সুতি রড ব্যাবহার করেছেন। স্থানীয় অনেকেই বলেন, রাস্তাটি নির্মাণে পরিমাণের চেয়ে কম রড, খোয়া ও সিমেন্ট এবং অতি নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় বছর না যেতেই এটি ভেঙে গেছে। এ রাস্তাটি পুনরায় নির্মাণের জন্য দ্রত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য নাছিমা বেগম মুঠোফোনে বলেন, ‘আসলে এ কাজে নামে মাত্র সভাপতি ছিলাম। চেয়ারম্যান সাহেব কাজটি করেছেন। এ ব্যাপারে গৌরীপুর ইউপি সচিব শাহনাজ বেগম মুঠোফোনে বলেন, ‘এলজিএসপি’র কাজে আমার দেখভালের দায়িত্ব থাকে না। আমি শুধু প্রকল্প তৈরী করি ও টাকা প্রদানের সময় চেকে স্বাক্ষর দেই। সমস্ত দায় দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যানের। এ বিষয়ে গৌরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টুর সাথে কয়েক দফায় ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।