মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জে সীমান্ত ইয়াবা ও মোটর সাইকেল এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে বিজিবি। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর নাম- মোঃ নুরুল হক
(২৪)। সে জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মোদেরগাঁও গ্রামের আব্দুস সোবাহানের ছেলে।আজ সোমবার (৬ সেপ্টেম্ভর) সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাহিরপুর থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (৬ সেপ্টেম্ভর) সকাল থেকে তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড় সীমান্তের বারেকটিলা, যাদুকাটা নদী, পুরান লাউড়, মুকশেদপুর
এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আমিনুল মিয়া, জজ মিয়া, রফিক মিয়া, নুরু মিয়া, এরশাদ মিয়া, নাজিম মিয়াগং পৃথক ভাবে ভারত থেকে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্যসহ কয়লা ও পাথর পাঁচর করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে দুপুর ২টায় বিজিবি অভিযান চালিয়ে সীমান্তের ১২০৩ এর ৪ এস পিলার সংলগ্ন লাউড়গড় এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী নুরুল হককে মোটর সাইকেলসহ
আটক করে। পরে তার শরীর তল্লাশী করে ৭ পিছ ইয়াবাসহ ১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে বালিয়াঘাট ও চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী ইয়াবা কালাম, জিয়াউর রহমান
জিয়া, রমজান মিয়া, শফিকুল ইসলাম ভৈরব, লেংড়া জামাল, আনোয়ার মিয়া, কুদ্দুস মিয়া, খোকন মিয়া, শহিদুল্লাহ, বাবুল মিয়া, মানিক মিয়া, হারুন মিয়া, একদিল মিয়া, কাসেম মিয়াগং
সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে কয়লা, চাল, বাঁশ, কাঠ, মদ, গাঁজা ও ইয়াবা পাচাঁর করার পর বিজিবির ক্যাম্পের নামে চাঁদা উত্তোলন করলেও তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তবে তাহিরপুর সীমান্তের ৬টি ক্যাম্পের মধ্যে লাউড়গড় ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য জোড়ালো ভূমিকা পালন করছে। আর অন্য ক্যাম্পের সদস্যরা রহস্যজনক কারণে নিরব রয়েছে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তছলিম এসহান সাংবাদিকদের বলেন- গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।