সুনামগঞ্জে দুলাভাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্যালকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃত শ্যালকের নাম- রসিক মিয়া (২৯)। সে জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের দামোধরতপী গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে।
গতকাল সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্যালক রসিক মিয়া মৃত্যু হয়। এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাত ১১টায় ঘাতক দুলাভাই নাইজুল হক (৩৮), সৎ বোন ছামিনা বেগম (২৮), রিনা বেগম (২২) ও সৎ মা নুরুল নেছা (৬০) কে গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে আজ মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ঘাতক দুলাভাই নাইজুল হক জেলার ছাতক উপজেলার খারাই গ্রামের জমসিদ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- জেলা দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দামোধরতপী গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার সম্পত্তির ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রীর সন্তানদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তারই জের ধরে গতকাল সোমবার (৫ এপ্রিল) বিকালে দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে রসিক মিয়া ও তৃতীয় স্ত্রীর মেয়ে সৎ বোন ছামিনা বেগমের মধ্যে পৈত্তিক সম্পত্তি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এঘটনাটি সন্ধ্যায় সৎ বোন ছামিনা বেগম তার স্বামী নাইজুল হককে জানালে সে উত্তেজিত হয়ে ধারালো ছুরি নিয়ে শ্যালক রসিক মিয়ার পেটে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ঘটনাস্থল থেকে আশংকাজনক অবস্থায় শ্যালক রসিক মিয়াকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করার পর রাত সাড়ে ৯টায় তার মৃত্যু হয়। এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘাতক দুলাভাই নাইজুল হক, সৎ বোন ছামিনা বেগম, রিনা বেগম ও সৎ মা নুরুল নেছাকে গ্রেফতার করে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি কাজী মুক্তাদির হোসেন এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- শ্যালককে হত্যার ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে ঘাতক দুলাভাই, দুই সৎ বোন ও মাকে আদালতের মাধ্যমে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে।