মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার প্রধান বানিজ্য কেন্দ্র সেবারহাট বাজারে শুক্রবার ভোরে এক দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। এ সময় আবুল খায়ের, রহমান ও আবু সাইয়েদের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের
একদল মুখোশধারী ডাকাত সেবারহাট বানিজ্য বিতান নামক দোকানের স্যাটারের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ডুকে ক্যাশে থাকার নগদ ৮লাখ টাকা, বাক্স ভেঙ্গে মুল্যবান কাগজপত্র, সিসি টিভি ও ট্রাক্টর যোগে ৩শ বস্তা চাউল এবং লুট করে নিয়ে যায়।
এসময় বাজারের নৈশ প্রহরী আবদুল শুক্কুল প্রকাশ ভান্ডারী ফোন করে ডাকাতির বিষয়টি দোকান মালিক সাইফুল ইসলাম সৌরভ ও সেনবাগ থানা পুলিশকে জানায়।
খবর পেয়ে সৌরভ ও তার পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে ডাকাতদল তাদের লক্ষ করে হাত বোমা ছুড়ে মারে এবং গুলি করার হুমকি দিলে তারা আত্মরক্ষায় বাড়িতে গিয়ে শোর চিৎকার শুরু করলে ডাতাক দল ২শ বস্তা ধান দোকানের অধুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় উপস্থিত লোকজন ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক্টর আটক করে। খবর পেয়ে টহলে থাকা সেনবাগ থানার এসআই তারেকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ ব্যাপারে ডাকতি হওয়া সেবারহাট বানিজ্য বিতানের পরিচালক সাইফুল ইসলাম সৌরভ জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে তার চাচা আবুল খায়েরের নেতৃত্বে আবদুর রহমান ও আবু সাইয়েদ সহ ৩০/৪০
জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত তাদের দোকানের স্যাটারের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ডুকে ক্যাশে থাকা নগদ ৮লাখ টাকা, বাক্স ভেঙ্গে মূল্যবান কাগজপত্র ,সিসি টিভি তাদের দোকানে থাকা ৩শ বস্তা চাউল যার মূল্য সাড়ে লাখ টাকা
লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতির খবর পেয়ে তার শোর চিৎকার শুরু করলে ডাকাত দল লুট করে নিয়ে যাবার সময় ২শ বস্তা ধান বাজারের অধুরে পথে পেলে রেখে পালিয়ে যায় ডাকাতদল ।
এ ব্যপারে বাজারের নৈশ প্রহরী আবদুল শুক্কুল প্রকাশ ভান্ডারী জানায়,শুক্রবার ভোর ৩টার দিকে একদল মুখোশধারী লোক এসে হুমকি দিয়ে তাকে তার বসারস্থানের লাইট বন্ধ করে দিতে বাধ্য করে।
এ সময় তিনি তার জীবনের নিরাপত্তার আত্মেগোপনে দিয়ে দেখেন সেবারহাট বাণিজ্য বিতান থেকে ডাকাতদল ট্রাক্টর যোগে চাউল ও ধান লুট কলে নিয়ে যাচ্ছেন। পরে তিনি বিষয়টি দোকান মালিক ও সেনবাগ থানা পুলিশকে মোবাইলফোনে অবহিত করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেবারহাট খাদ্য ভান্ডারের মালিক আবুল খায়েরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি ওই দোকানটির জায়গার মালিকানা নিজের বলে দাবী করে জানান। তিনি মা ভাই ও বোন থেকে ওই দোকানে জায়গাটি ক্রয় করেছেন। তারা তাকে ফাঁসাতে নিজেদের মালামাল নিজেরা সরিয়ে তাকে মামলা দিয়ে হয়রানির জন্য ওই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে দাবী করেন।
এব্যাপারে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ ধরণের একটি ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করে জানান,ওই দোকানের জায়গার মালিকানা নিয়ে দুই ভাই আবুল কালাম ও আবুল খায়েরের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলো। বিষয়টি ডাকাতি কিনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।