সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার প্রমান পাওয়ায় শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হককে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই ঘটনায় পাশর্^বর্তী দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলামকে মৌলভীবাজারে বদলি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন- উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শাল্লা থানার ওসি নাজমুলকে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ দিরাই থানার ওসি আশরাফুলকে মৌলভীবাজারে বদলি করা হয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৬ই মার্চ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কুটক্তি করে স্ট্যাটাস দেয় সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ঝুমন দাস আপন। এঘটনার প্রেক্ষিতে মামনুল হকের কর্মী-সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে ঝুমন দাসকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এঘটনার পরদিন সকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার স্বাধীন মিয়ার নেতৃত্বে ৪ গ্রামের প্রায় দুই সহশ্রাধিক লোকজন সংগঠিত হয়ে রামদা ও লাটিসুঠা নিয়ে সংলঘুদের গ্রাম নোয়াগাঁও গিয়ে হামলা চালিয়ে ৮৭টি বাড়িঘর ও ৬টি মন্দির ভাংচুর করে লুটপাট চালায়।
এঘটনার প্রেক্ষিতে স্বাধীন মেম্বারসহ ৮০-৯০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৪শ জনকে আসামী করে শাল্লা থানায় দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পলাতক থাকা প্রধান আসামী স্বাধীন মেম্বারসহ মোট ৩৩জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।