কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের সবকটি কেন্দ্রে ঘোষিত ফলাফলে বিজয়ী হওয়ার পরেও রিটার্নিং কর্মকর্তা বিজয়ী ঘোষণা করছে না মর্মে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল গফুর।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে তাকে বিজয়ী ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল গফুর অভিযোগ করেছেন, তৃতীয় দফা নির্বাচনে গত রবিবার উক্ত ইউনিয়নের ১০টি কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসারগণ নির্বাচনী এজেন্টদের লিখিতভাবে ও প্রতিটি কেন্দ্রে নোটিশ বোর্ডে ভোটের ফলাফল টাঙিয়ে দেন।
এই ফলাফল অনুযায়ী তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহজামাল সরকারের চেয়ে ৫০ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু ভোটের ফলাফল প্রদান শেষে ফিরে আসার পথে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনার অজুহাতে ফলাফল দিতে গড়িমসি করছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঝুনকার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. আবু তোয়াব কুড়িগ্রাম সদর থানায় দায়ের করা এক এজাহারে জানিয়েছেন, নির্বাচন শেষে সকল প্রার্থীর মনোনীত এজেন্টদের সামনে ফলাফল ঘোষণা করে নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেন।
এরপর নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার পথে বারবিশ ঘাটের কাছে মোটর সাইকেল প্রতীক ধারী পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা রাম দা, লাঠি, ছোড়া নিয়ে পেছন থেকে হামলা করে। হামলাকারীরা ব্যালট বাক্স ব্যতিত ব্যালট পেপার ও নির্বাচনি মালামালের বস্তা নিয়ে চলে যায়। তবে ফলাফলের শিট রক্ষিত ছিল।
এদিকে ফলাফল ঘোষণার বিলম্বের কারণ সম্পর্কে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা পানিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানান, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল বুঝে না পাওয়ায়
ফলাফল ঘোষণা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কমিশনের পরবর্তী সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তারা।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, ব্যালট ছিনতাই বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসের দায়ের করা মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। মালামাল উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এই বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম রাকিব বলেন, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, মাননীয় নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।