সরকারি কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকার পরো তা অমান্য করে হিন্দু ধর্মালম্ভীদের মমহাপ্রভু জন্মধম সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপু উপজেলার লাউড় রাজ্যের নবগ্রাম রাজারগাও এলাকার সীমান্ত নদী যাদুকাটায় পণতীর্থ গঙ্গাস্নান পূর্ণার্তীদের ঢল নেমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই হাজার হাজার পূণ্যার্থী তাদের পূর্ণস্নান সম্পূর্ণ করতে অদ্বৈত আচার্য্যরে জন্মধাম রাজারগাও আখড়াবাড়ি ও ইস্কন মন্দিরে এসে স্থান নেয়। কেউ কেউ আবার এর আশপাশের গ্রামে তাদের আত্নীয়ের বাড়ি অবস্থান করে। পরে তাদের স্নান সম্পন্ন করতে আজ শুক্রবার ভোর থেকেই হাজার হাজার পূণ্যার্থীদের ঢাল নামে জাদুকাটা নদীর দুই তীর ইস্কন মন্দির ও আখড়াবাড়ি এলাকায়। এসময় প্রশাসন তাদের নিষেধ বাধা দিতে হিমশিম খায়।
জানাযায়, অদ্বৈত আচার্য্যরে তার বৃদ্ধ মায়ের গঙ্গা স্নানের ইচ্ছা পূর্ণ করতে প্রায় ৭০০ বছর পূর্বে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উউপজেলার সীমান্তের জাদুকাটায় দেয়ান সাধনার পর গঙ্গার জলরাশি(পানি) জাদুকাটা নদীতে প্রবাহিত হলে জাদুকাটার সই প্রবাহিত জলে অদ্বৈত আচার্য্যরে মায়ের গঙ্গা স্নানের ইচ্ছা পূর্ণ করেন। সই থেকেই
নদীতে গঙ্গারূপী তীর্থ মনে করে মনোবাসনা পূরণের জন্য ৭০০ বছরের অধিক সময় ধরে পুণ্যস্নান যাত্রা উৎসব শুরু হয়ে এখনো অব্দি আসছে। একই সময়ে পাশের মুসলিম সম্প্রদায়ের সাধক শাহ আরেফিন(রাঃ) মাজারেও ওরস চলে। এই দুটি উৎসবকে ঘিরে শত শত বছর ধরে এই সময় আসলেই জাদুকাটা নদীর তীর হিন্দু-মুসলমান দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে মিলন মেলায় পরিনত হয় ।
এই দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে দুই ধর্মের মানুষ জন পূণ্যের আশায় লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়। কিন্তু এবার বৈশিক মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে এর বিস্তার ঠেকাতে গত ৩১ মার্চ এক সভায় পূণ্যস্নান যাত্রা উৎসব ও শাহ আরেফিন(রাঃ) এর ওরস উৎসব স্থগিত করে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন । কিন্তু এই নিদর্শনা জারির পিরও সেই নিষেধাজ্ঞা না মেনেই হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বি লোকজন তাদের মনের পূর্ণ বাসনা পূর্ণ কিরার আসায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আজ শুক্রবার সকল পর্যন্ত দলে দলে জাদুকাটা নদীর পণর্তীথে এসে জাদুকাটা নদীর পণর্তীথে এসে তাদের পূণ্যস্নান যাত্রা সম্পন্ন করেন। একইভাবে শাহ আরেফিনের ওরসেও তার ভক্তবৃন্দ আসছেন বলে জানা গেছে।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ সরদার জানিয়েছেন, গতকাল থেকেই আমাদের পুলিশ প্রশাসন এখানে আসা পূণ্যার্থীদের নিষেধ বাধা করে আসছি। এখানে আসা লোকজনকে গাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু এ এলাকার আশপাশের গ্রামের হিন্দু ধর্মের লোকজন লুকিয়ে লুকিয়ে তারা সকালে পূণ্যস্নান সম্পন্ন করছেন। তবে আমরা কঠোর হওয়ায় সকল ১০ থেকে তাদের উপস্থিতি একেবারেই কমেছে।