কক্সবাজারের হিমছড়ি পয়েন্টে আরো একটি মৃত তিমি ভেসে এসেছে। জেলেরা আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সাগরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় এটি দেখে বন বিভাগে খবর দেন।
গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ বিভাগের বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাতে তিমিটি জোয়ারের সঙ্গে ভেসে এসে ভাটার কারণে বালিয়াড়িতে আটকা পড়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও একটি মৃত তিমি ভেসে এসেছে। এর আগে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে আড়াই টন ওজনের একটি মৃত তিমি দরিয়ানগর এলাকার সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসে।
‘তিমিটির দৈর্ঘ্য ৪২ ফুট ও প্রস্থ ১৪ ফুট। জোয়ারের কারণে মৃত তিমিটির উদ্ধারকাজ শুরু করা যাচ্ছে না’ বলে জানান তিনি।
তিমিটি দেখতে স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছে। মৃত তিমি মাছটিকে তারা তাদের মুঠোফোনেও ধারণ করছেন।
এর আগে কক্সবাজারের দরিয়া নগর ও হিমছড়ির মাঝামঝিতে ভেসে আসে একটি মৃত তিমি। তিমিটির দৈর্ঘ্য ৪৪ ফুট ও প্রস্থ ২৬ ফুট। স্থানীয় লোকজন শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সাগরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় এটি দেখে মৎস্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরে খবর দেয়।
সমুদ্র ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক তরিকুর ইসলামের ধারণা, এক সপ্তাহ আগে তিমিটি মারা গেছে।
তিনি বলেন, নৌযান বা কিছুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মারা গেছে কি না, তা নিশ্চিত নয়। বিষাক্ত কিছু খেয়েও মারা যেতে পারে। তিমি কেটে এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজ জানান, তিমির মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত কমিটি করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর নবী জানান, লোকমুখে শুনে আমি সৈকতে গিয়ে দেখলাম মৃত তিমিটি পচে গেছে। দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে। এর গায়ের রং লালচে হয়ে গেছে। সম্ভবত কয়েক দিন আগে তিমিটি মারা গেছে।