গৌতম সাহা,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধান ও ঘর- বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় রাত ৩টা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
রোববার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে এই ঝড় ও শিলাবৃষ্টি বয়ে গেছে। উপজেলা অরুয়াইল -পাকশিমুল এলাকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
রাণীদিয়া এলাকায় মাদরাসার টিনশেড ঘরের চালা উড়ে গিয়ে পাশের বাড়িতে আঘাত করেছে। দুবাজাইলে বিল্ডিংয়ের সিঁড়ির চালাটি উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া উপড়ে গেছে গাছপালা,ভেঙ্গে গেছে ঘরবাড়ি, ধান ও ভুট্টা গাছগুলো হেলে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝড়ের আঘাতে অধিকাংশ ঝুপড়ি ঘর, টিনশেড ঘর, গাছপালা ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলো খোলা আকাশের নিচে জীবন যাপন করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা জানান, শুক্রবার রাত ৩টায় হঠাৎ আকাশ অন্ধকার হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরেই প্রবল বেগে ঝড় শুরু হয়। নিমিষেই ঘরবাড়ি-দোকানপাট লন্ডভন্ড করে দেয়। এ ঘটনায় অনেক মানুষ নিজের ঘরসহ আসবাবপত্র রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন।
শিলা বৃষ্টিতে তেমন ক্ষতি না হলেও ঝড়ো বাতাসে পাকা ধানের গাছ হেলে পড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আকরাম হোসেন বলেন,ঝড়ে নুয়ে পড়া পাকা ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে শিলা বৃষ্টিতে সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
আমরা ঝড়ে ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয় ক্ষতির তালিকা তৈরী করছি। একই সাথে কৃষকরা যেন ক্ষতির মুখে না পড়েন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে কৃষি সম্প্রসারণ এর কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের কাজ করবে।