রতন মিয়া, নেত্রকোনা: পদ্মা সেতুর নামানুসারে নেত্রকোনায় এক হাসপাতলে তিন সন্তানের নাম রাখা হলো স্বপ্ন ,পদ্মা ও সেতু। তিন সন্তানের জননী শখ করে রেখেছেন ছেলের নাম স্বপ্ন এবং কন্যা
দুই সন্তানের নাম রেখেছেন পদ্মা ও সেতু। ওরা যাতে সুস্থ ,সুন্দর হয়ে বেড়ে ওঠে এবং পদ্মা সেতুর মতোই বিশ্বব্যাপী পরিচিত ও আলোকিত মানুষ হয়ে ওঠে এই মা হাসি আক্তারের আকৃতি।
নেত্রকোনা জেলা শহরের মুক্তার পাড়া সড়কে অবস্থিত সেন্ট্রাল প্রাইভেট হাসপাতালে হাঁসি আক্তারের সিজারের মাধ্যমে এই তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে।
সিজারের দায়িত্বে ছিলেন ডাক্তার আফরিন সুলতানা ,এনেসথেসিয়া ডক্টর মাকসুদুর রহমান। সেন্ট্রাল প্রাইভেট হাসপাতালে এই প্রথমবারের মতো সিজারের মাধ্যমে তিন সন্তানের সুস্থ ভাবে জন্ম হলো।
দুপুরে সন্তান তিনটিকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তাররা বাচ্চাগুলো সম্পূর্ণ সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন।
মা হাসি আক্তার হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেছেন, আগামীকাল বাংলাদেশের গর্বের সেতু পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে ।যেহেতু পদ্মা সেতুর উদ্বোধন এর পূর্বে আমার সন্তানের জন্ম হয়েছে,
সেজন্য আমি ওই সেতুর নামানুসারে ছেলের নাম রেখেছি স্বপ্ন আর মেয়ে দুটোর নাম রেখেছি পদ্মা ও সেতু ।ওরা যেন সুস্থ থাকে ওরা যেন পদ্মাসেতুর মতোই বিশ্বব্যাপী আলোকিত মানুষ হয়ে উঠে এই আমার আল্লাহর কাছে প্রার্থনা।
হাসি আক্তার এর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলাধীন দাস পাড়া গ্রামে। সন্তান তিনজনের জনক শেখ সাদী খান একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন।
একসঙ্গে তিনটি সন্তান জন্ম হয় এবং সবাই সুস্থ থাকায় তাদের পরিবারে খুশির জোয়ার নেমে এসেছে। পিতা শেখ সাদী খান বলেছেন ,সন্তান তিনজন সুস্থতার দায়িত্ব আল্লাহর হাতে ।আমি
সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি যাতে আমার সন্তান তিনজন সুস্থ থাকে ।ওদেরকে যাতে আমি মানুষ করতে পারি।
সিজারের দায়িত্বে থাকা কর্তব্যরত ডক্টর আরিফিন সুলতানা জানান, সেন্টাল প্রাইভেট হাসপাতালে এই প্রথমবারের মতো সিজারে তিনজন সন্তান প্রসব হলো।
আমরা সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিশেষ নজর দেয়ার কথা বলেছি।যেন সেই তিনজন সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় থাকে ।
হাসপাতালের মালিক ফেরদৌস হাসান অত্যন্ত আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেছেন, এটাই আমাদের সফলতা। সিজারের মাধ্যমে তিনজন সন্তান এই সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রসব হল।
সম্পূর্ণভাবে সুস্থ আছে মা ও সন্তান।আমরা হাসপাতালে পক্ষ থেকে বিশেষ নার্সিং এর ব্যবস্থা করেছি ।যাতে করে ওই তিনজন সন্তানের কোনো শারীরিক সমস্যা হলে তাদেরকে যত্ন দেওয়া যায়।