সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ও জটিলতা নিরসরনে বর্তমান সরকার নানা মুখী কার্যক্রম ও ভূমি সংশোধন আইন বর্তমান সময়ে দেশের নাগরিকরা সুফল পাচ্ছেন। সম্পত্তি বিরোধ ভূমি জরিপে বিভিন্ন সময় ভুল তথ্য দিয়ে কাগজপত্রের নানা জটিলতা সৃষ্টি করে কতিপয় ভূমিদস্যু পরধন লোভী ব্যক্তিরা
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের চাইতে অপেক্ষাকৃত দুর্বল মানুষের সম্পত্তি ভোগ দখলের নজির রয়েছে অসংখ্য। এমনি একজন ভূমি দস্যু মাফিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার নগুয়া গ্রামের আয়েশা দাখিল মাদ্রাসা এলাকায় তার নিকট আত্মীয় স্ত্রীর বোনদের ওয়ারিশান সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার
অপচেষ্টায় রেকর্ড জরিপে আর.এস পর্চায় ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে কাগজ পত্রে ওয়ারিশান গোপন রেখে রেকর্ড ভুক্ত করেন। তৎকালীন ওয়ারিশান ধারাবাহিকতায় মোসাঃ চাম্পা, মোসাঃ পারুল, বকুল, আকুল, রাণী, সর্ব উভয় পিতা বাবর আলীর সম্পত্তিতে তাদের ওয়ারিশান প্রাপ্ত ভিটে বাড়ী ভূমি দীর্ঘ
দিন যাবৎ পরম সুখে ভোগ দখল করে আসছিলেন। হঠাৎ করে বিগত ১৮ই জুন ২০১৬ইং তারিখে তাদের ভোগ দখলিও সম্পত্তি থেকে বেদখল করার জন্য গোলাপ মিয়া গংরা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে এমনকি মামলা হামলা হুমকি দিয়ে বলে, এই জমি আমার তোদের ভোগ দখল ছেড়ে
দিতে হবে। পরবর্তী সময় কাগজপত্র যাচাই করে জানতে পারে তাদের সম্পত্তি আর.এস রেকর্ডে গোলাপ মিয়া ও তার স্ত্রীর নামে ভুল রেকর্ড করিয়েছে। এই ঘটনার বিষয় অবগত হইয়া ভুক্তভোগী পরিবারগুলো আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকিয়া সম্পত্তির সঠিক মালিকানা কাগজপত্র যাচাই বাছাই
করে তাদের পৈত্তিক সম্পত্তি বহাল রাখতে কিশোরগঞ্জ সদর সিনিয়র সহকারী জজ মহামান্য আদালতে একটি দেওয়ানী পিটিশন মোকদ্দমা দায়ের করেন। পিটিশন মোকাদ্দমা নং-২৪৮তাং ২৩ জুন ২০১৬ইং। মোকদ্দমাটি দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারিক আদালতে স্বাক্ষী আমলে অভিযুক্ত গোলাপ
মিয়া গংরা গভির ষরযন্ত্র করে, বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন ফৌজদারী মামলা মোকদ্দমা ও স্থানীয় লাঠিয়াল বাহিনীর বিভিন্ন ভয়ভীতি সৃষ্টি করে বাদী পক্ষদ্বয়কে এলাকা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। এতে করে বাদীপক্ষদ্বয় সুষ্ঠ ন্যায় ভাবে মামলা পরিচালনায় বিঘœ ঘটে। সঠিক
সময়ে স্বাক্ষি আদালতে পেশ না করতে পারায় আদালত মামলাটি খারিজ করে। এতে করে প্রকৃত সম্পত্তির মালিকানা বহাল রাখতে ন্যায় বিচার সুবিদা পেতে হয়রানির মুখে পড়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। এ ঘটনায় মামলা পুনরায় আদালতে আইনী আমলে নিয়ে প্রকৃত মালিকানা পক্ষে
ডিক্রি প্রদানে আইনের ন্যায় প্রতিষ্ঠা পেতে ভোক্তভোগীদের দাবী। বর্তমানে অসহায় পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবন যাপন করিতেছে। তাদের ন্যায্য প্রাপ্য সম্পত্তি রেকর্ড সংশোধনের মাধ্যমে
ডিক্রি পাওয়ার জন্য আইনী সহায়তা পেতে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কামনা করেছেন। নালিশী সম্পত্তি ৪৩৬৭নং দাগে এস.এ ৫৭৩১নং দাগে ২০ শতাংশ।